শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক

আবদুল বারী, নীলফামারী

আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ভালো দামের আশায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাঠের পর মাঠ উঁচু সমতল ভূমিতে আগাম জাতের আলু বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম জাতের আলু উৎপাদন হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমনটাই আশা কৃষকদের। স্বল্পমেয়াদি আউশ, আগাম আমন ধান কাটা, মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তত, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে চলছে আলু বীজ বপন ও জমি  প্রস্তুতের কাজ। এ সময় রণচন্ডি ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, গত বছর ধান কাটার পর ১ একর জমির আলু ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি তাতে অর্ধেক টাকা লাভ হয়েছে। এবারও বেশি লাভের আশায় ৮০ শতাংশ জমিতে ৫৫ থেকে ৬০দিনে উত্তোলনযোগ্য  সেভেন জাতের আলু বীজ বপন করছি। বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক লাল বাবু ১২ বিঘা ও শামীম হোসেন বাবু ২৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করছেন। তারা বলেন, বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। আগুর (আগাম) আলু চাষে কোনো মাইর নেই।   এখানকার উঁচু জমি বালুমিশ্রিত হওয়ায় এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোনো ভয় থাকবে না। চড়া দামে আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এ বছর ৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জতিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থকরী ফসল হিসেবে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এ এলাকায় আলু চাষ করে অধিকাংশ কৃষক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এই উপজেলার মাটি আগাম চাষে খুবই উপযাগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা আগাম আলুর বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমে পড়েছেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর