শিরোনাম
শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্লাব ভাঙা সেতু

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

স্লাব ভাঙা সেতু

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কের লাউকাঠি নদীর ওপর একটি সেতুর স্লাব ভাঙা। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের ভোগান্তি বাড়ছে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর এই সেতুর লাইট না থাকা এবং হাঁটা পথের স্লাব ভাঙা থাকায় মানুষকে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় রাতে বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলেও। সমস্যা সমাধানে স্থানীয়রা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি করেন চলাচলকারী মানুষ। শুধু লাউকাঠি নদীর পটুয়াখালী সেতু নয় এ ছাড়াও পটুয়াখালী কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ জেলা বেশির ভাগ সেতুতেই রাতে চলাচল করার জন্য কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই।  দেখা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লাউকাঠি নদী। এর দক্ষিণ তীরে জেলা শহর অপর পাশে সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও দুমকি উপজেলা। দৈনন্দিন কাজে লাউকাঠি, ইটবাড়িয়া ও বদরপুর ইউনিয়নের মানুষকে হেঁটে পটুয়াখালী সেতু পারাপার হতে হয় প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া প্রতিদিন এই পথ দিয়েই পটুয়াখালীর পর্যটন  কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ  কেন্দ্রসহ সারা দেশের সঙ্গে হাজারো যানবাহন চলাচল করে। ব্রিজের ফুটপাথের কংক্রিট স্লাবগুলো ভাঙা থাকায় এবং রাতের ব্রিজের লাইট পোস্টগুলোতে বাতি না থাকায় অন্ধকারে ভোগান্তি নিয়ে এই পথে চলাচল করতে হয় মানুষের। সেতু দিয়ে চলাচলকারী লাউকাঠি এলাকার সানু মিয়া বলেন, প্রতিদিন কাজের জন্য শহরে যেতে হয়। আবার কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফেরার সময় অন্ধকারে ব্রিজ পারাপার হতে হয়। এতে চার বার স্লাবের ফাঁকে পা পড়ে আহত হয়েছি। তাই দ্রুততার সঙ্গে বাতি ও স্লাব মেরামতের দাবি জানান তিনি। পরিতোষ ধূপি বলেন, ব্রিজ উদ্বোধনের কয়েক মাস পর থেকেই এখানে বাতি জ¦লতে দেখেননি তিনি। এই ব্রিজ দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এখানে বাতি ও স্লাব জরুরি। এই ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বহু মানুষের চলাচল। বিশেষ করে কুয়াকাটায় মানুষ ঘুরতে আসে। পায়রা বন্দর তাপবিদ্যুতসহ বরগুনা জেলার মানুষও এখান থেকে চলাচল করে। শিয়ালী এলাকার শাক-সবজি বিক্রেতা বৃদ্ধ সামশুল আলম বলেন, বর্ষার মধ্যে তিনি শাকসবজি নিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙা স্লাব দিয়ে পড়ে গিয়ে ডান হাতে ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর