সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনা আঁকড়ে ধরে নাসিকের নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। যা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেখা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এগিয়ে থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে হেফাজতে ইসলামের মামলা জটিলতার কারণে এখনো এলাকায় তেমন একটা তৎপর নন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় নাসিকের ১০টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি এলাকার বাজারে-ঘাটে, আনাচে-কানাচে, গাছে, মসজিদ-মন্দিরসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশের শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দনের ব্যানারে ছেয়ে গেছে। এ সব ব্যানার বেশির ভাগই হচ্ছে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে থাকা সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের। এদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তারা সবাই দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া তাদের দল আদৌও নির্বাচনে যাবে কি-না? তবে বিরোধী দলীয় অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রচারণার মাঠে আছে নীরবে। এদিকে বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় ফেসবুকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। যারা বর্তমানে নাসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন, তারা তাদের মাধ্যমে হওয়া সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ছবি ও তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের কাছে। আর যারা সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন তারাও ফেসবুকে বর্তমান কাউন্সিলরদের নানা দোষত্রুটি তুলে ধরছেন। কথা হয় নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এটা তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচন। এতদিনে আমরা সাধারণ ভোটাররা কি পেলাম আর কি না পেলাম সে দরকষাকষি হবে এবারের নির্বাচনে। আমরা আমাদের পছন্দের মানুষকেই ভোট দিব। যাতে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ আরও সুবিধা পায়। সিটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রকিবুদ্দীন ফয়সাল নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমি রাজনীতি তেমন বুঝি না। কাজ করি বেতন দিয়ে সংসার চালাই। তবে নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আমরা সবাই সচেতন। স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন সব সময় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করতে পারবেন এমন প্রার্থী চাই। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারীর জন্য প্রায় দুই বছর মাঠ পর্যায়ে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। তাই তারা নাসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্তমানে কর্মী সমাবেশ করছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সফলভাবে তারা কর্মী সমাবেশ করেছেন, আরও কিছু ওয়ার্ড বাকী আছে। নাসিক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, দল যার হাতে নৌকা তুলে দিবেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ তার হয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকবে।
