সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সারের দামে দিশাহারা কৃষক

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

সারের দামে দিশাহারা কৃষক

নেত্রকোনায় কৃষকরা এবার চলতি কৃষি মৌসুমে জমিতে ব্যবহারের জন্য সার কিনছেন চড়া দামে। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখলেও সংকটের কথা বলে প্রতি বস্তায় দুই থেকে আড়াই শ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে বাড়তি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব সার। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনা জেলায় এখন রোপা আমান আবাদের চলছে ভরা মৌসুম। কৃষকদের চারা রোপণের কাজ একেবারে শেষের দিকে। চলতি মাসে জমিতে শেষ করতে হবে সার দেওয়ার কাজ। এবার ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৬০ হেক্টরের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণ হয়ে গেছে। জেলার ১০ উপজেলায় বিসিআইসি ডিলার রয়েছেন ১১৭ জন, বিএডিসি ডিলার ১৭৮ জন ও খুচরা বিক্রেতা রয়েছে ৭১৪ জন।  বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সারের সংকট দেখিয়ে প্রতি বস্তায় ১০০/২০০/২৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। অথচ জেলার পারলা বিএডিসি ও সাতপাই রেলক্রসিং গুদামেও পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলে দাম নিচ্ছে চড়া এমন অভিযোগ সদর উপজেলার মৌগাতি, হাটখোলা, মজিহাটি, মাহমুদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকের। সদরের আশরাফ আলী সরকার, আবুল কাশেমসহ অসংখ্য কৃষকের অভিযোগ, গুদামে রয়েছে বরাদ্দ অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার। সরকারও ভর্তুকি দিয়ে সার আনছে। কিন্তু কৃষকের চড়া দামে কেনায় সরকার এবং কৃষকের ক্ষতির মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ডিলাররা বলছেন গুদামের মাল ছাড়ছে না। এদিকে গুদাম থেকে বলছে, মালের কোনো কমতি নেই যা আসছে দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি দামের আমরা কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। এদিকে সারের স্থানীয় ইউনিয়ন ডিলার প্রতিনিধি নিখিল চন্দ্র সিংহ বলছেন যে দাম লেখা আছে তাই বিক্রি করছি। আমরা মাত্র ২০ বস্তা পাচ্ছি। দরকার এক থেকে দেড় শ বস্তা। সরকারের দেওয়া মূল্যেই দেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত না থাকার কারণে বাইরে থেকে স্বল্প বাড়িয়ে হয়তো কিনে নেন কৃষকরা। যা আছে তাই দিয়ে দিচ্ছি। কম দেই না কাউকে এমনটা জানিয়েছেন, জেলার বিসিআইসি ডিলার সমিতির সভাপতি পিযুষ কান্তি ভৌমিক।

সর্বশেষ খবর