শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রাণ ফিরেছে দুর্গাপুরে

আসছেন পর্যটক উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রাণ ফিরেছে দুর্গাপুরে

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার একটি পর্যটন স্পট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পর্যটনখ্যাত নেত্রকেনার দুর্গাপুর যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি; যা ভ্রমণপিপাসুদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। এখানে রয়েছে পাহাড় ও নদীর গভীর মিতালি। অঘোষিত পর্যটন এলাকা হলেও নানা স্থান থেকে এখানে ভ্রমণপিপাসুরা আসেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দীর্ঘদিন করোনা মহামারীর কারণে দেশের সব পর্যটন এলাকা বন্ধ ছিল। সরকার এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দুর্গাপুরে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। মানুষ ঘুরতে আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। কেউ কেউ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছেন। ২৭৮ দশমিক ২৮ বর্গ কিলোমিটারের দুর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে পর্যটনের ছোঁয়া। এর মধ্যে দুটি ইউনিয়নের পুরো এলাকাই নৈসর্গিক দৃশ্য আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সোমেশ্বরী নদী রয়েছে উপজেলার শুরু থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত। ভারতের বাঘমারা সীমান্ত দিয়ে নেমে আসা এই পাহাড়ি নদী রূপে-গুণে আশীর্বাদ হয়ে রয়েছে উপজেলার মানুষের জন্য। সারা বছরই এ নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু-পাথর উত্তোলন হয়। এ ছাড়া সদর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কুল্লাগড়ার সবটুকু জুড়ে আছে চিনামাটির পাহাড়। যা থেকে আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। শীত, বর্ষা সব মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটন ঘুরতে আসেন এখানকার সৌন্দর্য দেখতে। রানী খং মিশনের ক্যাথলিক গির্জা, কমলা রানীর দীঘি, বিজয়পুর সীমান্ত, শাখায়েত বাঁধ, ভবানীপুর সীমান্তসহ বেশ কিছু স্পট রয়েছে দেখার মতো। শুধু বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি ছাড়া এগুলোতে কোথাও  বসে বিশ্রাম নেওয়া বা রিফ্রেশ হওয়ার সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, পর্যটন এলাকা হিসেবে দুর্গাপুরকে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর