রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি

বেহাল ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

লক্ষীপুরের মেঘনা নদীতীরবর্তী এলাকার ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বেহাল অবস্থায়। সংস্কার ও মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এ বেড়িবাঁধটি যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জেলা সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দার চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে,  জেলা সদরের মজু চৌধুরীর হাট থেকে দক্ষিণে মতির হাট আর উত্তরে রায়পুর ও চাঁদপুর সড়কের সঙ্গে সংযোগ ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বর্তমানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুরের নদীতীরবর্তী লাখো মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বেড়িবাঁধ। একই সঙ্গে যে কোনো দুর্যোগ মুহুর্তে ও জলোচ্ছ্বাসে আশ্রয় নেওয়াসহ শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও ভূমিকা রাখছে বাঁধটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ও মেঘনার ভাঙনের প্রভাবে এ বাঁধটি জীর্ণশীর্ণ হয়ে এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাঁধের কিছু অংশ পাকা থাকলেও বর্তমানে বেড়ির দুই পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। আবার কিছু অংশ সলিং হলেও তা এখন ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ ছাড়া কিছু অংশ নতুন করে ভাঙনের হুমকিতে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ৪ উপজেলার নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের এ মাধ্যম সম্পূর্ণরূপে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহতসহ কোনো ধরনের যানবাহন না চলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল কলেজে পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সড়কের বেহাল অবস্থায় সময়মতো পাঠদানে যোগ দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় তারা। অনেকে জানান, চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারছেন না নদীতীরবর্তী অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সরকারের কাছে খুব দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী। লক্ষীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় ভূড়িরঘাট থেকে মতির হাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, আর ভূড়িরঘাট থেকে মজু চৌধুরীর হাট হয়ে রায়পুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বাঁধের সংস্কারের জন্য রাজস্ব বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও বরাদ্দ প্রাপ্তিতে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। জানতে চাইলে স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানদের সঙ্গে বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি হচ্ছে। আশা করছি প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই খুব দ্রুত নদীতীরবর্তী মানুষ এ সংকট কেটে উঠতে পারবে।

সর্বশেষ খবর