রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

১৩ পুকুর খননে ‘পুকুর চুরি’

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

১৩ পুকুর খননে ‘পুকুর চুরি’

বাগেরহাটের ফকিরহাটে সরকারি ১৩টি পুকুর পুনঃখননে ‘পুকুর চুরির’ অভিযোগ উঠেছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই খনন করা মাটি ধসে পড়ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক নিয়মে কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভরাট হয়ে যাওয়া জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারি পুকুরগুলো পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত ১৩টি পুকুর দুটি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে পুনঃখনন করে একটি বড় আকারের ফিল্টার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রথম প্যাকেজে প্রায় ২ কোটি ৭ লাখ এবং দ্বিতীয় প্যাকেজে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মনির ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়ে পুকুরগুলো পুনঃখনন কাজ শুরু করেন। প্রথম দিকে কাজের মান কিছুটা ভালো হলেও মাঝামাঝি সময়ে দেখা যায় নানা অনিয়ম। ১৩ পুকুরের মধ্যে সাতটির পাড়, ইটের সলিং, বাউন্ডারি পিলারসহ কাঁটাতারের বেড়া ধসে পুকুরে উপড়ে পড়ে যায়। স্থানীয়রা বলেছেন, পুকুর খননের সময় যথাযত নিয়ম না মানায় পাড় ধসে পড়ছে। তাছাড়া সিমেন্টের পিলারে ব্যাচঢালাই না দিয়ে দায়সারাভাবে তৈরি করায় তা দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতর তদারকির দায়িত্বে থাকলেও তাদের উদাসীনতার কারণে এমন হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায়, শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে অবস্থিত জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পুকুরটির দুই পাশে নির্মাণাধীন ইটেরসলিং পিলার কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে মাটিসহ ভেঙে পুকুরে পড়েছে। মানসা-বাহিরদিয়া ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থিত পুকুরটিরও একই অবস্থা। অনেকে বলেছেন পুনঃখননে ‘পুকুর চুরি’ হয়েছে। শুরুতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে কাজ শেষে যখন জেলা পরিষদের কাছে বুঝিয়ে দেবে তখন কী হবে? ফকিরহাট উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আল আমীন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, পুকুরের বিষয়টি আমি দেখেছি। সত্যিই এটা দুঃখজনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর