রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্মাণের ১৬ বছরেও চালু হয়নি রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মেহেরপুর প্রতিনিধি

নির্মাণের ১৬ বছরেও চালু হয়নি রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় মামলা জটিলতায় এখনো আলোর মুখের দেখা পায়নি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রশিকপুরসহ আশেপাশের গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে লেখাপড়া করতে যেতে হয় ৫-৭ কিলোমিটার দূরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে।  ১৬ বছর আগে নির্মাণ সম্পন্ন হলেও চালু না হওয়ায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরি হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে ভবনের ভিতরে রাতের আঁধারে বসে মাদকের আড্ডা। অথচ নিজ গ্রামেই দ্বিতল ভবনের একটি বিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বিঘারও বেশি জমিতে নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের ভবন। বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০০৩ সালে দেশের ৫৪টি উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে রশিকপুর ব্যতীত বাকি ৫৩টি বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়েছে।  স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, বিদ্যালয়টি করার জন্য স্থানীয় সুলতান শেখ তার স্ত্রী আম্মাতন নেছার নামে থাকা তিন বিঘা ৫ কাঠা, আমির শেখ ১০ কাঠা এবং রতন শেখ ১০ কাঠা জমি দিয়েছিলেন। আম্মাতন নেছার  তিন বিঘা জমির পরিবর্তে আবাদি পাঁচ বিঘা জমি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন স্কুল কমিটি জমি না দেওয়ার কারণে জমিদাতা আম্মাতন নেছা বাদি হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর মামলা চলার পরে কিছুদিন আগে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়।  জমির মালিক আম্মাতন নেছা বলেন, ‘তিন বিঘা আমবাগানের গাছ কেটে আমি বিদ্যালয় নির্মাণের জমি দিয়েছিলাম। তৎকালীন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সঙ্গে কথা ছিল ওই জমির বদলে মাঠে আবাদি পাঁচ বিঘা জমি কিনে দেবে তারা। কিন্তু বিদ্যালয় নির্মাণ করার পরে জমি না পাওয়ায় আমি ২০০৪ সালে আদালতে মামলা করি। তবে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে এমন তথ্য আমি জানি না।  মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন বলেন মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বা স্কুল চালু করার বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য জানেন না। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন মামলা থাকার কারণে স্কুলটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব স্কুলটি চালু করতে। ইতিমধ্যে ইউএনও এবং শিক্ষা বিভাগ আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে সব জটিলতা নিরসনের মাধ্যমে স্কুলটি দ্রুততম সময়ে যাতে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করতে।

সর্বশেষ খবর