বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাক্ষুসে জালে মাছের সর্বনাশ

শেরপুর প্রতিনিধি

রাক্ষুসে জালে মাছের সর্বনাশ

রিং জাল বা চায়না দুয়ারি। স্থানীয়রা একে চেনে ‘রাক্ষুসে জাল’ হিসেবে। শেরপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খাল-বিলে মাছ শিকারের জন্য ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ এ জাল। মাছের কাছে গেলে আর রক্ষা নেই। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, আধুনিক প্রযুক্তির চায়না দুয়ারি জালে সর্বনাশ হচ্ছে সাধু পানির মাছের। খালে-বিলে এখন আর আগের মতো মাছ মিলছে না।

জানা যায়, কারেন্ট জাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এ জাল। পাতা হয় বড় খাল বা বিলে। মাছ ধরতে ৪-৫ ঘণ্টা পর পর তোলা হয় এ জাল। জাল তোলার পর দেখা যায়, বড় মাছ তো ধরা পড়ছেই পোনাও রক্ষা পাচ্ছে না। কোথাও গোপনে আবার কোথাও প্রকাশ্যে এ জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। জালগুলো দেখতে অজগর সাপের মতো। এতে আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ রিং। থাকছে অসংখ্য পকেট। জালের কাছে মাছ গেলেই পকেটে ঢুকে পড়ছে। জালগুলো অনেক লম্বা ও প্রশস্ত। ১০০ মিটার জাল তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা। কোনো কোনো জালের দৈর্ঘ্য ৫০০-১৫০০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকশি, চেল্লাখালী খাল, বৌলি বিল, মালিঝি খাল এবং ঝিনাইগাতীর বগাডুবি, বাঙামাটি, মালিঝি খাল, কালিনগর বিলসহ বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাক্ষুসে জাল। এ জালের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। ৪ অক্টোবর ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০০ মিটার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, গত জুন থেকে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৭ হাজার ৮০০ মিটার রাক্ষুসে ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এ জাল তৈরি ও বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর