রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বারবার ভাঙছে বাঁধ অসহায় উপকূলবাসী

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বারবার ভাঙছে বাঁধ অসহায় উপকূলবাসী

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা বলেশ্বর এবং বিষখালী নদীবেষ্টিত এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থিত। এ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষের বাস। সিডর, আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, ফণি, বুলবুল, আম্ফান ও ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাথরঘাটার মানুষ। গত ২০ বছরে উপকূল রক্ষা বাঁধটি কমপক্ষে চারবার পরিবর্তিত হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার জনবসতির দিকে চলে এসেছে। ফলে ৫০০ ঘরবাড়ি, ১ হাজার একরের বেশি ফসলি জমি এখন বলেশ্বর-বিষখালী নদীর অংশমাত্র। এয়াড়া বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট করেছে। গত ১৪ বছরে বাঁধটি অসংখ্য বার মেরামত করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। সবশেষ চলতি বছরের ৩১ মে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বাঁধ পরিদর্শন করেন। তখন স্থানীয় মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি তোলেন। এদিকে টেকসই আধুনিক বেড়িবাঁধ নির্মাণ দাবিতে গতকাল পদ্মা ভাঙন এলাকায় বাঁধবন্ধন করা হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ ও মুক্তা আক্তার। বক্তব্য রাখেন, নারী নেত্রী মুনিরা ইয়াসমিন খুশি, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। মুনিরা ইয়াসমিন খুশি বলেন, সিডরে এখানে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তার মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। শক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর যেন বাঁধ ভেঙে শিশু মারা না যায়। লাঠি ভর দিয়ে মানববন্ধনে আসেন ৯০ বছরের আবদুল করিম। তিনি বলেন, এই বয়সে অনেক ওয়াপদা ভাঙতে দেখছি। অনেক মানুষ মরতে দেখছি। আইজ আইছি আর যেন কোনো মানুষ পানিতে ডুইব্বা মারা না যায়। মরার আগে শক্ত ওয়াপদা দেইখা যাইতে চাই।

সর্বশেষ খবর