ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘিরপাড় গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত ছেলে শফিকুল ইসলাম মৃধা ফারুককে (৪১) গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশের হাতে তুলে দেন তার মা। এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, পাতরাইল দিঘিরপাড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করে আসছিল। তিন সন্তানের জনক শফিকুল সংসারের প্রতি ছিল উদাসীন। মা-সহ পরিবারের সদস্যরা বাধা দিয়েও তাকে মাদনসেবন ও বিক্রি থেকে ফেরাতে পারেনি। গত শুক্রবার বিকালে শফিকুলের মা কহিনুর বেগম ছেলের নিকট ইয়াবা বড়ি দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করেন। লোকজনকে জানান, তার ছেলের নিকট ইয়াবা আছে। এলাকাবাসী শফিকুলকে ধরে ফেলে। এর পর শফিকুলের মা ভাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ শুক্রবার বিকালে শফিকুলকে ১২টি ইয়াবা বড়িসহ তার মায়ের নিকট থেকে গ্রেফতার। শফিকুলের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন হাবিজাবি (মাদক) খেয়ে আসছে। শফিকুল আমার সংসারকেই শুধু শেষ করেনি, আশপাশের পোলাপানরে নষ্ট করছে। শেষ পর্যন্ত আমি বাধ্য হয়েছি আমার একমাত্র ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, মায়ের ফোন পেয়েই আমরা শফিকুলকে গ্রেফতার করি।
এ সময় তার কাছে ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। শফিকুল একজন মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী।
