সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল সড়কে ভোগান্তিতে তিন উপজেলার বাসিন্দা

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম

বেহাল সড়কে ভোগান্তিতে তিন উপজেলার বাসিন্দা

জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে তিন উপজেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কুমিল্লার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কে শত শত খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। জানা যায়, লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। প্রয়োজনের তাগিদে এ সড়কটি দিয়ে লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। বেশ কিছুদিন থেকে সড়কের লাকসাম দৌলতগঞ্জবাজার, পূর্ব লাকসাম, গন্ডামারা, কাদ্রা, ভোজপাড়া, গুনতি, তেলিয়াপাড়া, গাইনেরডহরা ও নরপাটি বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় শত শত খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে তিন উপজেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৫ সালে পুনঃসংস্কারের সময় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্তমানে সড়কটি এলাকাবাসীর দুর্বিষহ যন্ত্রণার ঠিকানা হয়ে পড়েছে। লাকসামের নরপাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম জানান, সড়কটি দিয়ে চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তগুলোতে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলেও পতিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন বলেন, ইতোপূর্বে সড়কটির একাংশের কাজ হয়েছে। বাকি অংশের পুনঃসংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছে। সহসাই কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর