মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষা কার্যক্রম চলছে একজন শিক্ষক দিয়ে

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ৩১ নম্বর লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। স্থানীয়রা বলছেন, যেদিন শিক্ষা অফিসে শিক্ষকদের মিটিং থাকে সেদিন বাধ্য হয়েই কখনো স্কুলের নৈশপ্রহরী আবার কখনো প্রতিবেশী লোকজন ডেকে পাঠদান করানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলার ফলে ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহল ১৯১০ সালে উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামে লক্ষ্মীকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এরপর থেকে ওই অঞ্চলে ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো বিস্তার করতে থাকে। একপর্যায়ে বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম বলেন, গত ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তখন বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে একজন চাকরি ছেড়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে একটি ব্যাংকে যোগ দেন। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অপর সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার দেড় বছরের জন্য ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন ট্রেনিংয়ে চলে যান। এখন একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।

 তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৬১ জন। করোনা পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক সিট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া আবার সেগুলো নিয়ে আসা, খাতা মূল্যায়ন করা এবং অফিসের নানা রকম কাজ করতে হয়। একটি প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণে কাজ থাকে তা কোনোভাবেই একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। অফিসের কাজ করতে গেলে পাঠদান ব্যাহত হয় আবার পাঠদান করতে গেলে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তার পরেও এসব কাজ করতে হচ্ছে। আবদুল হালিম জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষক চেয়ে শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

রানীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার সামছুজ্জামান বলেন, লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কথা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর