বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে দুর্ভোগ ১০ গ্রামের

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সেতুর অভাবে দুর্ভোগ ১০ গ্রামের

একটি সেতুর অভাবে দুই উপজেলার ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও আজও যেন অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না। দিনাজপুরের বিরামপুর ও হাকিমপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘শাখা যমুনা’ নদীটি বিরামপুরের চৌঘুরিয়া দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও চৌঘুরিয়া নদীর ঘাটে ‘শাখা যমুনা’ নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। ওই অঞ্চলের ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বর্ষা মৌসুমে  নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের চালার উপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। ৫০০ মিটার রাস্তা পার হতে ঘুরতে হয় ৭ কিলোমিটার রাস্তা। তবে সেতুর অভাবে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার মানুষের দৈনন্দিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ছোট শাখা ‘যমুনা নদী’। এই ছোট নদীতে হাত চল্লিশেক একটা  সেতু, তাই কেউ তৈরি করে না। হামার জীবনে মনে হয়, আর এই সেতু দেখে যেতে পারম না। মেলা এমপি গেল, চেয়ারম্যান গেল কিন্তু হামার সেতুটা আলো (আসলো) না। বিরামপুর চৌঘুরিয়া গ্রামের ঘাটে নৌকায় পানের গাট্টি নিয়ে পারাপারের সময় ওই গ্রামে ৬০ বছরের বৃদ্ধ তকিমুদ্দিন (ফেলু) এসব কথা বলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দেশ স্বাধীনের পর থেকে অনেক এমপি, উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। কাটলা ইউপির মেম্বার খলিলুর রহমান জানান, শাখা যমুনা নদীর পশ্চিম অংশে রয়েছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ ঘাসুড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প। ঘাসুড়িয়া, চৌঘুরিয়া, বাসুপাড়া, দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর, রণগাঁও গ্রামে রয়েছে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৩০০ পানের বরজ রয়েছে। তবে ওই এলাকায় নেই কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নদীটির পূর্ব অংশে রয়েছে, হাকিমপুর থানার মাধবপাড়া, মংলা ও নয়ানগর বাজার। এই দুই উপজেলার মাঝের দূরত্ব ৫০০ মিটার। অথচ এই ৫০০ মিটার রাস্তা পার হতে ঘুরতে হয় ৭ কিলোমিটার রাস্তা।  এদিকে, নদী পারাপারে ঘাটটি ইজারা দেওয়া হয়। নদী পারাপারে জন প্রতি ৫ টাকা, সাইকেল ১০ টাকা এবং মটরসাইকেল ২০ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া কাঁচামালের পরিমাণ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হয়।  স্থানীয় চৌঘুরিয়া গ্রামের পান ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, হাটে যেতে হলে ৫০০ মিটার রাস্তার বদলে ৭ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। এতে তাদের সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। বিরামপুরের কাটলা ইউপির চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, ওই এলাকায় একটি সেতু খুবই প্রয়োজন। স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও এলাকার ১০ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে সেতুটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর