শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সংসদীয় আসন পুনর্বহাল চান রাজনগর উপজেলাবাসী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

অবকাঠামো ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সংসদীয় আসন পুনর্বহাল দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন রাজনগরবাসী। তাদের দাবি মৌলভীবাজারের সবচেয়ে অবহেলিত উপজেলা রাজনগর। সব ধরনের সরকারি স্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এ উপজেলার মানুষ। ইতিমধ্যেই তারা রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহালের জন্য দেশে-বিদেশে মতবিনিময় সভা, স্মারকলিপি ও সমাবেশ করেছেন। দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই কমিটিও করা হয়েছে। নেতারা অনলাইনে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, ১৯৭০ সালে মৌলভীবাজার জেলায় (তৎকালীন মহকুমা) জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে রাজনগর উপজেলার প্রশাসনিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে ‘২৩৩ সিলেট-১৪’ নামে একটি নির্বাচনী আসন ছিল। রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে আসনটি গঠন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জিয়াউর রহমান ওই আসনকে কেটে বগুড়ায় একটি আসন বৃদ্ধি করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ওই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মরহুম তোয়াবুর রহিমের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবারও এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন            জননেতা তোয়াবুর রহিম। আন্দোলনকারীরা বলছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনকে সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, প্রত্যেক আদমশুমারির পর নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বাধ্যতামূলক। ওই আসনটি কেটে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়নি। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খছরু চৌধুরী ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক রেজুয়ানুল হক পিপুল বলেন, ‘আগের সংসদীয় আসন ফেরত চাচ্ছি। আমরা নতুন করে আসন তৈরি করার দাবি করছি না।’ রাজনগর সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি আবদুস সালাম ও সাধারাণ সম্পাদক আকলু মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মনে করি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার মতো রাজনগরের কোনো লোক নেই। আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। সরকারের সব ধরনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমরা পৃথক হতে চাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর