রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

যৌনপল্লীতে খুন-আতঙ্ক

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

যৌনপল্লীতে খুন-আতঙ্ক

দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী দৌলতদিয়া যৌনপল্লী। বর্তমানে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে খুন-আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ৯ অক্টোবর নিজ ঘরে খুন হন যৌনকর্মী রিতু বেগম। রিতুর হত্যার পর থেকে যৌনকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক শুরু হয়। খুনের পর গোয়ালন্দ থানা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে মামলার তদন্ত পান গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, যৌনকর্মী রিতু বেগমকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দৌলতদিয়া এলাকার দুখিনী বেগম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ও শেখ রিপন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুখিনী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে হত্যার সঙ্গে শেখ রিপন জড়িত বলে তার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। তারা দুজনই বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে রয়েছেন। রিতুর ঘরে চুরির উদ্দেশ্যেই এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। যৌনপল্লীতে খুন প্রসঙ্গে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর বাসিন্দা মায়া আক্তার বলেন, যৌনপল্লীতে রাতে অনেক খদ্দের থাকে। তারা অনেকেই অপরিচিত। তাদের সঠিক উদ্দেশ্য কী জানা যায় না। রিতু খুনের পর আমাদের এখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক যৌনকর্মী রাতে ঘর থেকে পল্লীর বাইরে আসে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যৌনকর্মী বলেন, বর্তমানে পল্লীতে ভয়ংকর খারাপ সময় পার হচ্ছে। নানা কৌশলে পল্লীর বাসিন্দারা প্রতারিত হচ্ছে। সর্বশেষ রিতু খুন হলো। রিতু খুনের ঘটনায় পল্লীর বাসিন্দারের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রিতু হত্যার ঘটনার বিচার চান তিনি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ঘিরে কাজ করে একটি অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন নামে একটি সংস্থা। কর্মীর জীবনমান উন্নয়নসহ নানা অধিকার নিয়ে কাজ করেন সংগঠনটির সভাপতি ঝুমুর বেগম। তিনি বলেন, বর্তমানে পল্লীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো। দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা তো অনেক পরিবারের মধ্যেও হয়। খুনের ঘটনায় পল্লীর বাসিন্দারা কিছুটা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। আমরা সবাই সেটি নিয়ে কাজ করছি। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আবদুল্লাহ আল তায়েবীর বলেন, পল্লীতে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ কাজ করছে।

মাঝে মাঝে পল্লীর ভিতরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অপরাধীদের আবাসস্থল যেন যৌনপল্লী না হয় সেদিক বিবেচনা করে পুলিশ কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর