বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঁদপুরে ফসলের বীজ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে ফসলের বীজ

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি বছরে ৯৮২ মেট্রিন টন ধান বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  জেলার ৮টি উপজেলার ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব বীজ স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারে পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, খামার বাড়ি, চাঁদপুরের বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা  সেচ প্রকল্প নামে দুটি প্রকল্প জেলার চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, হাইমচরে ২৩ হাজার ৩৯০ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। তথ্যমতে, ধান বিআর ২৮/২৯/৫৫/৫৮/১৬ এর বীজ ৯৮২ মে. টন বরাদ্দ। মশুর ডাল, খেসারি ডাল ও সরিষা বীজ মিলে ১২ মে.টন।  গম বীজ ২৯ মে.টন। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি বীজ ১ হাজার ২০০ কেজি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব বীজ জেলার বীজ গুদামে এসে পৌঁছাবে। বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অনুমোদিত ডিলাররা এই বীজ কৃষকদের নিকট সরকার নির্ধারিত প্যাকেটে সংযোজিত মূল্যে বিক্রি করবে বলে বীজ বিতরণ কেন্দ্র জানান। গত সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ মে. টন বীজ ট্রাকের মাধ্যমে আমদানি ও খালাস করা হচ্ছে। বিএডিসির জেলা বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাসার বলেন, চাঁদপুরে বরাদ্দের বীজ ইতিমধ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এমনকি সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে ডিলারদের মধ্যেও বিতরণ চলছে। প্রতিটি প্যাকেটে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন করা হয়েছে। বীজ ক্রয় করার সময় তিনি কৃষক বন্ধুদের প্যাকেটে সংযোজিত মূল্য দেখে নিয়ে ক্রয় করতে অনুরোধ জানান। চাঁদপুর জেলায় খাদ্যের প্রয়োজন গড়ে ৪ লাখ ১২ হাজার মে.টন। বিগত দিনে খাদ্য ঘাটতি প্রকট ছিল। উন্নত প্রযুক্তি চালুকরণ ও আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ লাখ মে. টন। খাদ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যুৎ ও সার ভর্তুকি এবং ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও কৃষকের উদ্ভাবিত নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ও বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কৃষকের আর্থিক দৈন্যতা ক্রমান্বয়ে দূর হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর