শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

আমনে শীষমরা রোগ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

আমনে শীষমরা রোগ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আমন ধানে শীষমরা রোগের আক্রমণে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে, শেষ আশ্বিনের টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে শীষ আসা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে স্বর্ণা জাতের ধান বৃষ্টির ফলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে এবং লুটিয়ে পড়া ধানের খেতে পোকার আক্রমণ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, এবছর আমন মৌসুমে নাচোল উপজেলায় ২২ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে উপজেলায় স্বর্ণা জাতের ৭ হাজার ৮২০, ব্রি-৫১ জাতের ১১ হাজার ৩৮৫, ব্রি-৫২ জাতের ১ হাজার ২০০, ব্রি-৪৯ জাতের ২০, ব্রি-৩৪ জাতের ১৩৯২, ব্রি-৭১ জাতের ১৫৩, ব্রি-৮৭ জাতের ১০৪, ব্রি-৯৫ জাতের ১.৫, বীনা-১১ জাতের ৬, বীনা-১৭ জাতের ১৫, বীনা-২২ জাতের ৮, অ্যাবাইজএজেড হাইব্রিড জাতের ৩০ ও অন্যান্য স্থানীয় জাতের প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কিন্তু এবছর আশ্বিনের শেষে প্রচ-  রোদের তাপে ধানের পরাগায়নের সময় কৃষকরা না বুঝেই কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে ধানের পরাগায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন খেতে অনেক শীষ চিটা বা মরাশিষ বের হয়েছে। এটি নতুন রোগ, যা কৃষকরা শনাক্ত করতে পারেনি। সর্বোপরি কৃষকরা না বুঝেই খেতে নিম্নমানের কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। কোন রোগের কী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে তা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। জমিতে পাঞ্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করলে পোকার আক্রমণ রোধ করা সম্ভব হতো। ধানের জমিতে শীষমরা রোগের ও স্বর্ণা জাতের ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ফলে এবছর আমনের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মাতিন, হাঁকরইল গ্রামের আলহাজ সেকান্দার আলী ও আব্দুল কাদির, নেজামপুর গ্রামের মুনসুর আলী, সোহরাব আলী ও দুলাল উদ্দিন, আন্দরাইল গ্রামের জাইফুল ইসলাম, ফুরশেদপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা জানান, এ বছর আমনের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন তারা।

সর্বশেষ খবর