রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বপ্ননীড়ে খুশির বন্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বপ্ননীড়ে খুশির বন্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘর পেয়ে আনন্দিত দম্পতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের জন্য ৫৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্বে ৯৫টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৫০০টি ঘর বরাদ্দ অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীরা জানান, জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে তারা সবাই নিরাপদে বসবাস করছেন। মাথাগোঁজার নিরাপদ ঠাঁই পেয়ে এসেছে প্রশান্তির পরশ। উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নামোকাঞ্চনতলা গ্রামের বৃদ্ধ আফসার আলী ও কুলসুম বেগম বলেন, যেখানে মাথা গোঁজার মতো এক টুকরো জমি তাদের ছিল না। সেখানে পাকা ঘর ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে তাদের সব কষ্টের অবসান হয়েছে। আলমপুর মৌজার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকজন উপকারভোগী জানান, পূর্ব পুরুষ থেকে তারা ভূমিহীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ পরিবার নিয়ে নিজেদের একটি বসবাসের ঠিকানা পেয়েছেন। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, গোমস্তাপুরে ৫৯৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং জমির দলিল হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উপহারের বাড়ি পাল্টে জীবন : গৃহহীন আবুল কালাম প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি। এখন বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ভালোভাবেই দিন কাটছে তার। দুর্যোগ সহনীয় সেমি পাকা বাড়ি পেয়ে কষ্টের দিনের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। হুসনে আরা নামে আরেকজন জানান, আগে মানুষের বাসায় থাকতাম। স্বামী মারা গেছে। একমাত্র ছেলের আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। মানুষের বাসায় কাজ করে অনেক কষ্টে বাসা ভাড়া শোধ করতাম। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে দিন শেষে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। অনেক ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে হাত তুলে দোয়া করেন হুসনে আরা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের নতুন ঘর দিয়েছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে ভূমিসহ গৃহহীনরা নতুন বাড়ি পাওয়ায় পাল্টে গেছে জীবনযাত্রার মান- এমনটাই দাবি উপকারভোগীদের।

খানসামায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই ধাপে ৮৫৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ মাহবুব ইসলাম জানান, মুজিববর্ষে গৃহহীন থাকবে না কোনো পরিবার-প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সারা দেশের ন্যায় খানসামা উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। প্রকৃত উপকারভোগীরাই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর