বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লা মহাসড়কে অলস ১৫ ফুটওভার ব্রিজ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লা মহাসড়কে অলস ১৫ ফুটওভার ব্রিজ

কুমিল্লা মহাসড়কের ১৫টি ফুটওভার ব্রিজে পা দেন না পথচারীরা। ব্রিজগুলো অলস পড়ে রয়েছে। এদিকে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হতে যাওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। হাইওয়ে পুলিশের একটি সূত্রমতে, ৫ ভাগ মানুষও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন না। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৩০ ভাগই পথচারী। হাইওয়ে পুলিশের দাবি, কম জনবল দিয়েই তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।

সূত্রমতে, দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট কমাতে কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার এলাকায় ১৫টি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো- দাউদকান্দি বিশ্বরোড, শহীদনগর, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনার মাধাইয়া, চান্দিনা, সেনানিবাস, কোটবাড়ী বিশ্বরোড, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী, চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার, চৌদ্দগ্রাম বাজারে দুটি, মিরশ্বানি ও পদুয়া রাস্তার মাথা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদুয়ার বাজার ছাড়া খুব কম স্থানে মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছে। অধিকাংশ ফুটওভার ব্রিজে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার ঝুলছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে মানুষ দৌড়ে মহাসড়ক পার হচ্ছে।

পরিবেশ সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দেখা যায়। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।’ ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল চৌধুরী টিপু বলেন, ‘খুব কম মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। মাঝের ডিভাইডার উঁচু করে দিলে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার বাড়বে। আমরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের জন্য পথচারীদের উদ্বুদ্ধ করছি। এসপি স্যারকে নিয়ে হাইওয়ের পাশের বিভিন্ন স্কুলে সচেতনতামূলক সভা করেছি।’

হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের ব্যস্ততম মহাসড়ক। এর পাশে রয়েছে বাজার, কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবসতি। আমাদের জনবল কম। তা দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা কঠিন। তবু আমরা ফুটওভার ব্রিজে পথচারীকে উঠিয়ে দিচ্ছি, লিফলেট বিতরণ ও স্কুলে সচেতনতামূলক সভা করে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর