বঙ্গবন্ধু সেতুতে দ্বিতীয় দফায় বেড়েছে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের হার। টোল আদায়ের প্রজ্ঞাপনের লিফলেট চালকদের মধ্যে বিতরণ করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১১ সালে এ সেতুতে টোল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল বৃদ্ধি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) আনোয়ারুল নাসের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন জারি হলেও গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন থেকে আগের ধার্য হারেই টোল আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই চালকদের অবহিত করতে তাদের হাতে টোল বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস এবং টোল হার ধরা হয়েছে, মোটরসাইকেল ৫০ টাকা, কার/জিপ ৫৫০, মাইক্রো, পিকআপ ৬০০, ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) ৭৫০, বড় বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) ১০০০, ছোট ট্রাক (৫ টন) ১০০০, মাঝারি ট্রাক (৫-৮ টন) ১২৫০, মাঝারি ট্রাক (৮-১১ টন) ১৬০০, ট্রাক (৩ এক্সেল) ২০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ৩০০০, ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) ৪০০০ টাকা। এ ছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রতি বছর এক কোটি টাকা টোল আদায় করা হবে। এর আগে ২০১১ সালে এ সেতুতে টোল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তখন মোটরসাইকেলে ৪০, হালকা যানবাহন (কার, জিপ) ৫০০, ছোট বাস ৬৫০, বড় বাস ৯০০, ছোট ট্রাক ৮৫০, মাঝারি ট্রাক ১১০০, বড় ট্রাক ১২৫০-১৪০০ টাকা টোল ধার্য করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, টোল আদায় বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরই গত মঙ্গলবার রাত থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন চালকদের জানাতে লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত (গতকাল) বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, আদায়ের সিস্টেম পরিবর্তন করে নতুন টোল রেট সংযুক্ত করার পর টোল আদায় শুরু হবে। মাইক্রোবাস চালক রনি মিয়া জানান, টোল বৃদ্ধি করা হলে আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যাবে কারণ ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। সাধারণ মানুষ সেটা বুঝতে চাইবে না।
