রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে লেপ তোশকের কারিগরদের ব্যস্ততা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে লেপ তোশকের কারিগরদের ব্যস্ততা

শরৎ পেরিয়ে হেমন্ত এসেছে প্রকৃতিতে। শীতের আগমনী বার্তা এখন জেলার সর্বত্র। আর এরই মধ্যে উত্তরাঞ্চলের সবকটি জেলার আগেই কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে শীতের ঠান্ডা। দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের কারণে গরমের তীব্রতা অনেক কমে গেছে। দিনভর রোদ থাকলেও প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে রাতে চলে ঠান্ডার প্রকোপ। রাত নামলেই গায়ে হালকা শীতের কম্বল সবাইকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে। ভোর থেকে মিটি মিটি কুয়াশা পড়তে থাকে। হিমালয়ের কাছাকাছি জেলার অবস্থান হওয়ায় আগাম শীতের বার্তা আসে প্রতিবছর এ জেলায়। সকালে সূর্য ওঠার পর পরই কুয়াশা কেটে যায়। তবে রাতে ও ভোরবেলা শীতের হিমেল ঠান্ডা ও কুয়াশা অনুভূত হয়। স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, গত ৩-৪ দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা কমে আসছে এবং ওঠানামা করছে। পর্যায়ক্রমে আরও এ তাপমাত্রা কমে আসবে বলে জানানো হয়। এদিকে, শীতের ঠান্ডা শুরু হওয়ায় এ জেলার মানুষ ঠান্ডার কাপড়সহ লেপ ও তোষক বানানো শুরু করেছেন। আর লেপ- তোষক তৈরির কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব দোকানে চাহিদা বেড়ে গেছে লেপ ও তোষকের। জেলার পৌর এলাকার বড় মসজিদ সংলগ্ন সুপার মার্কেটের নিচে দোকানিরা লেপ ও তোষক তৈরিতে ব্যস্ত। একই অবস্থা পৌরবাজার, ত্রিমোহনী মোড় ও ভকেশনাল মোড়ে। প্রতিদিন শীতের লেপ তৈরির জন্য অর্ডার নিচ্ছেন দোকানিরা। অন্যদিকে, শীতের ঠান্ডা শুরু হওয়ায় সর্দি-জ্বর ও কাশির প্রকোপ বেড়েছে শহর ও গ্রামে। হাসপাতালসমূহে প্রতিদিন সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকগণ সবাইকে নতুন শীতের ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকার আহ্বান জানান। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত তিন দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি এ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর