বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পরিত্যক্ত ইউনিয়ন কৃষিভবন নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

পরিত্যক্ত ইউনিয়ন কৃষিভবন নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ

নওগাঁর রানীনগরের ৮টি ইউনিয়নে স্থাপন করা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ইউনিয়ন ও ব্লক পর্যায়ের কোয়ার্টারগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সঠিক নজরদারির অভাবে সরকারের কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক ইউনিয়নের ভবনগুলো স্থানীয়রা নিজেদের কাজে ব্যবহার করছেন। শুধুমাত্র সদর ইউনিয়নের কোয়ার্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের দুজন কর্মচারী বসবাস করছেন। এছাড়া অবশিষ্ট ইউনিয়নের কোয়ার্টার ও জায়গাগুলো অবৈধ দখলে। জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালুভরা মৌজায় বিজয়ের মোড়ে ৮ শতাংশ জায়গার উপর নির্মাণ করা কোয়ার্টারের অবস্থা জরাজীর্ণ হলেও তার আশেপাশের সব জায়গা বর্তমানে অবৈধ দখল হয়ে গেছে। কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর মৌজায় এনায়েতপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানে ৮ শতাংশ জমি, গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম মৌজায় বেতগাড়ী বাজার সংলগ্ন স্থানে ৮ শতাংশ জমি, পারইল ইউনিয়নের পারইল মৌজায় পারইল বাজার সংলগ্ন স্থানে ৮ শতাংশ জমি, বড়গাছা ইউনিয়নের গহেলাপুর মৌজায় গহেলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন স্থানে ৮ শতাংশ জমি, কালিগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল মৌজায় রাতোয়াল বাজার সংলগ্ন স্থানে ৮ শতাংশ জমি, একডালা ইউনিয়নের যাত্রাপুর মৌজায় একডালা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানে ১৪ শতাংশ জমি ও মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা মৌজায় আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ৬ শতাংশ জমিসহ কোয়ার্টারগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কোয়ার্টার সবগুলোর অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। বছরের পর বছর এই ভবনগুলোতে সংস্কারের কোনো ছোঁয়া স্পর্শ না করায় সেগুলো বর্তমানে মাদক, জুয়াড়ি ও অন্যান্য অপকর্মের মানুষদের জন্য অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ভবনগুলোর দরজা, জানালা অনেক আগেই নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে দেয়াল-ছাদও খুলে খুলে পড়ছে। যার কারণে নিজ নিজ ইউনিয়ন ও ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিজ এলাকা ছেড়ে শহরে কিংবা অন্যান্য স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।  উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ার কারণে সব সময় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।

সর্বশেষ খবর