বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটে বীজ ও সার সংকট

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

রোপণ মৌসুমের শুরুতেই ন্যায্য মূল্যে উচ্চ ফলনশীল আলুবীজ ও ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। দুই থেকে ৩০০ টাকা বেশি দামে প্রতিবস্তা আলুবীজ ও টিএসপি সার কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। আবার এসব কৃষি পণ্য কেনার পর রসিদও দেওয়া হচ্ছে না। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে প্রয়োজনের স্বার্থেই এসব কৃষি পণ্য বেশি দাম দিয়ে কিনতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জয়পুরহাটে এ বছর ৪০ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। যেখানে উচ্চ ফলনশীল বীজ আলুর চাহিদা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ১১০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আলু রোপণ করেছেন। জেলায় উচ্চ ফলনশীল আলুবীজের চাহিদা ৪৬ হাজার টন। যেখানে সরকারি বিএডিসি এবং ব্র্যাক ও এসিআইসহ অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানির  আলু বীজের বরাদ্দ মাত্র দশ হাজার। ব্র্যাক অনুমোদিত প্রথম শ্রেণির আলুবীজ ডিলার ক্ষেতলালের চৌমুহনী বাজারের শাহজামান তালুকদার বলেন, গত বছর ব্র্যাকের আলুবীজ রোপণ করে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। এ জন্য ব্র্যাকের আলুবীজে আগ্রহ বেশি কৃষকদের। খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে এই বীজ দুই-তিন শ’ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ তো আমরা করতে পারব না। তিনি প্রশাসনিকভাবে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান। ব্র্যাকের অ্যাস্টেরিক জাতের এ গ্রেড ৪০ কেজির এক বস্তা আলুবীজের দাম ১ হাজার ৭২০ টাকা। বি গ্রেডের দাম ১ হাজার ৬৪০ টাকা। আর ডায়মন্ড জাতের এ গ্রেড আলু ১ হাজার ৫৬০ টাকা এবং বি  গ্রেডের দাম ১ হাজার ৪৪০ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর