বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আখাউড়ায় সক্রিয় পরিবহন সিন্ডিকেট আমদানি-রপ্তানি বন্ধের হুমকি

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আখাউড়ায় সক্রিয় পরিবহন সিন্ডিকেট আমদানি-রপ্তানি বন্ধের হুমকি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে গড়ে ওঠা পরিবহন সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও চালকদের মারধরের অভিযোগের ঘটনায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যবসায়ী ও ট্রাকমালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে দেওয়া পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করার ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। জেলা ট্রাকমালিক গ্রুপের অভিযোগ, চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও মারধরের ঘটনায় অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। এ নিয়ে ইউএনও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকেও সুরাহা না হওয়ায় তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন। অন্যদিকে বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের পাল্টা অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হলে, ২০ নভেম্বর থেকে বন্দরে আমদানির-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসককে দেওয়া তাদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বন্দরে গড়ে ওঠা পরিবহন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া বন্দরে আসা ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্রাকমালিক গ্রুপ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এতে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে ১৮ অক্টোবর থেকে জেলার কোনো ট্রাক দিয়ে এ বন্দরের পণ্য পরিবহন করা হবে না বলে জানানো হয়। এমনকি অন্য জেলার ট্রাকও আসতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা আসে। পাশাপাশি বন্দরে গড়ে ওঠা পরিবহন সিন্ডিকেট নিয়েও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে পৌর মেয়র এবং ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় ১১ নভেম্বর জেলা ট্রাকমালিক গ্রুপের সভাপতি শেখ মো. মহসীন আবার জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টির সুরাহা চেয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন। সমাধান না হলে ১৪ নভেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে সোমবার দেওয়া এক দরখাস্তে চাঁদা দাবি ও চালককে মারধরের অভিযোগ আনেন। এ বিষয়ে সুরাহা না হলে ২০ নভেম্বর থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত পরিবহন সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার পর থেকেই বন্দরে এমন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ট্রাক ভাড়া করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় বন্দরে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয় না। ওই সিন্ডিকেট অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। প্রতিদিন চলাচল করা প্রায় ১০০ ট্রাক সরবরাহ করে তা থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর