ফরিদপুরের সালথায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় বিক্রয়কৃত ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান উপজেলার গৌড়দিয়া বাজারের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করে। এ সময় দোকানি পারভেজকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সালথা থানার এসআই মো. রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত দোকানি পারভেজের ছেলে ছাব্বির জানায়, সালথার বিভাগদি গ্রামের আলীম মোল্লা প্রথমে চালের কিছু স্যাম্পল নিয়ে আমাদের দোকানে আসে। সে এই চাল বিক্রি করার কথা জানায়। ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ কেজির ৩০ বস্তা চাল পাঠাবে বলে ৬১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে রাত ৮ টার দিকে সে চাল পাঠায়। আমার বাবা গোডাউনে চাল রেখে দেয়।
রাত ৯ টার দিকে পুলিশ এসে গোডাউন খুলতে বললে বাবা গোডাউন খুলে দেয়। এ সময় পুলিশ ৩০ বস্তা চালসহ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে এটা সরকারি চাল কিনা সেটা আমার বাবা জানত না। অভিযুক্ত আ. আলিম মোল্যা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার নাতি শাকিল মোল্যা বলেন, উদ্ধারকৃত চাল আমাদের না। সালথা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, নকুলহাটি বাজারের ডিলার আ. আলিম মোল্যা কিছু চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে এমন অভিযোগে থানা পুলিশ গৌড়দিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। বিশেষ অভিযানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে একটি দোকান থেকে ৩০ বস্তা চাল ও উদ্ধার করি। এ সময় পারভেজ নামে ওই দোকানদারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত পারভেজের কাছ থেকে জানতে পারি যে, এই চাল নকুলহাটি বাজারের চালের ডিলার আলিম মোল্যা তার কাছে বিক্রি করেছে। ডিলার আবদুুল আলিম মোল্যাকে আটকের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।