শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শেরপুরে বন্যহাতি হত্যায় মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বন্যহাতি হত্যায় মামলা

শেরপুর সীমান্তে হাতি-মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বছরের পর বছর। এই দ্বন্দ্বে দুই দশকে অন্তত ৫০ জন মানুষ ও ২০টির মতো হাতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষে ৯ নভেম্বর সীমােেন্তর শ্রীবরদী উপজেলায় এক বন্যহাতিকে নির্মমভাবে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হত্যা করা হয়। এতে সোচ্চার হয়ে ওঠে স্থানীয় পরিবেশবাদী এবং সচেতন মানুষ।

শুরু হয় হাতি হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন এবং ফেসবুকেও ঝড় ওঠে হাতি হত্যার বিচারের। বনের কিছু সচেতন মানুষও সোচ্চার হয় হাতি রক্ষায়। ইতিপূর্বে হাতি হত্যার বিচার বা মামলা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ সীমান্তবাসী হাতি হত্যায় আরও উৎসাহিত হয়ে ওঠে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

বনে হাতির জায়গায় নির্বিচারে মানুষের বসতি গড়ে ওঠার কারণেই মানুষ-হাতির এই চরম দ্বন্দ্ব বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

এত সংখ্যক হাতি মারা গেলেও গত দুই দশকে  কোনো মামলা হয়নি। কিন্তু গত ৯ ডিসেম্বর হাতি হত্যার ঘটনায় এই প্রথম মামলা করল শেরপুর বনবিভাগ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ ধারায় চারজনের নামে ১১ নভেম্বর এ মামলা করা হয়। আসামিরা হলেন- মালাকুচা এলাকার দুই ভাই আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন এবং মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল। রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ৯ নভেম্বর শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত জিআই তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এ ঘটনায় প্রথমে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১১ নভেম্বর চারজনের নামে মামলা করেন। এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নির্বিচারে বনভূমি দখল করে চাষাবাদ করায় হাতি লোকালয়ে এসে পড়ছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারছি না। বাধ্য হয়েই আইনগত ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। বন্য পশু নিধন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সর্বশেষ খবর