শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজবাড়ীতে আতঙ্কে ইউপি প্রার্থীরা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীতে আতঙ্কে ইউপি প্রার্থীরা

১১ নভেম্বর রাতে বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মিয়া নির্বাচনী প্রচার শেষে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লতিফ মিয়া এবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পর থেকে আতঙ্ক বেড়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে। বিশেষ করে পদ্মা নদী তীরবর্তী চন্দনী, মিজানপুর এবং বরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে। আসন্ন ইউপি নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির উদ্দেশে সন্ত্রাসীরা সংদুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছে বলে মনে করছেন অনেকে। র‌্যাবের তথ্যমতে, রাজবাড়ীর নদীর তীর এলাকায় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে কয়েকটি ইউনিয়নে তাদের (র‌্যাব) কঠোর নজরদারি রয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এসব এলাকায় অভিযান চালাবে। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ২০১৯ সালে চন্দনী ইউনিয়নের কালিতলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আবদুর রহিম। তিনি ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। এরপর আর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেল নিয়ে মোড়ে মোড়ে লোকজন থাকে। তাদের কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে কথা বলে না। এরমধ্যে অনেকেই অপরিচিত।’ চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান শাহিনুর বলেন, বানিবহ ইউপির জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার পর আমরা আতঙ্কে আছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।  রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহদত হোসেন বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যাতে কেউ না করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর