রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আমদানি কমায় হিলিতে বেড়েছে পাথরের দাম

হিলি প্রতিনিধি

আমদানি কমায় হিলিতে বেড়েছে পাথরের দাম

ভারতের অভ্যন্তরে গাড়ির সিরিয়ালসহ নানা জটিলতার কারণে সম্প্রতি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর রপ্তানি কমিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় পাথর আমদানি না হওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে বাড়ছে পাথরের দাম। বিভিন্ন প্রজেক্টে পাথর সরবরাহ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরের পাথর ব্যবসায়ীরা। হিলিতে বর্তমানে আমদানি করা ৫/৮ ও ৩/৪ সাইজের পাথর প্রতি টন ৩ হাজার ৭১০ থেকে শুরু করে তিন হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হতো। আর হাফ ইঞ্চি সাইজের পাথর বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২৫০ টাকায় যার আগে দর ছিল টনপ্রতি ৩ হাজার ২০০। হিলি স্থলবন্দরে পাথর কিনতে আসা নাজমুল হোসেন বলেন, আগের তুলনায় পাথরের দাম টনপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ পাথর আমদানি হওয়ায় দেখে-শুনে কিনতে পারতাম। এখন পাথর কম আমদানি হওয়ায় মান ভালো হচ্ছে না। গাড়ি ভাড়াও বেশি। হিলি বন্দরের পাথর আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে বন্ধ থাকা বিভিন্ন অঞ্চলে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে পাথরের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে একদিকে পাথরের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন অন্যদিকে কমিয়েছেন রপ্তানি। চুক্তিমতো পাথর সরবরাহ করতে না পারায় আমরা বকেয়া বিল তুলতে পারছি না। অপর আমদানিকারক ইদ্রিস আলী মিঠু বলেন, মূলত ভারত অভ্যন্তরে সিরিয়াল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

 পিঁয়াজসহ অন্য ট্রাকগুলোকে ৫-৭ হাজার টাকা করে দিয়ে সিরিয়াল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। পাথরের ট্রাকে সেই টাকা না দেওয়ায় সিরিয়াল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আগে দিনে বন্দর দিয়ে ১০০ ট্রাকের বেশি পাথর আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৪০-৫০ ট্রাক। হিলি আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ সরকারের বিভিন্ন চলমান মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি হচ্ছে। আমদানি কম হলে দামের ওপর-তো প্রভাব পড়বেই। হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, এ বন্দর দিয়ে পিঁয়াজ, পাথর, গম, ভুট্টা, খৈল, ভুষিসহ গড়ে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ২০০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে শুধু পাথরের ট্রাক প্রবেশ করতো ৬০-৭০টি। এই সংখ্যা কিছুদিন আগে আরও বেশি ছিল। এখন আবার কিছুটা কমেছে।

সর্বশেষ খবর