মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আগাম আলু তোলায় ব্যস্ত কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি

আগাম আলু তোলায় ব্যস্ত কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন একটু কম হলেও চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হবেন এমনটাই আশা করছেন আলুচাষিরা। দেশের বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। এ আলু ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি জয়নোনের কোট গ্রামের আলুচাষি আনোয়ারুল ইসলাম চার বিঘা ও একই এলাকার হাড়িবেচা পাড়া গ্রামের মমিনুর রহমান দুই বিঘা জমির আগাম আলু উত্তোলন করেছেন। এ সময় কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বরাবরের মতো চলতি বছর আমি ৩৫ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। এর মধ্যে চার বিঘায় লাগানো ছিল আগাম জাতের আলু। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতে আলু লাগানোর পর ৬১ দিনের মাথায় আলু তুললাম। জমিতে ৪০ জন শ্রমিক কাজ করেছে। চার বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ বস্তা আলু হবে। অপর কৃষক মমিনুর রহমান জানান, দুই বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি ভালো দামের আশায়।

তবে জমি উঁচু হওয়ায় আশ্বিনা বৃষ্টিপাতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন সেই জমির আলু তুলছি। যা ১০ থেকে ১২ বস্তা আলু হবে। এতে  খরচ বাদে দ্বিগুণ টাকা আয় হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগাম আলুর মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগাম আলুচাষিরা বিপাকে না পড়লে ৩০ শতাংশ জমির আলু বাজারে চলে আসত। এখন আলু তোলা শুরু হয়েছে। আর কদিন গেলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আলু উত্তোলন শুরু হবে। তবে বাজার দর ঠিক থাকলে আলুচাষিরা লাভবান হবেন। আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে পুনরায় নমলা আলুসহ সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টা, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচামরিচ ও শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। পরবর্তীতে ওই ফসলগুলোতে সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। বর্তমান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষকরা ভালো দাম পেলে আগামীতে আগাম আলু চাষে উৎসাহিত হবেন। মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর