রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কাঠের সেতুই ভরসা পাঁচ গ্রামের

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কাঠের সেতুই ভরসা পাঁচ গ্রামের

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরের পাঁচ গ্রামের ভরসা কাঠের সেতু। এ ছাড়া জেলার ঘোড়াঘাট এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে দীর্ঘদিন থেকে তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও আজও সেই আশা পূরণ হয়নি ওই এলাকার মানুষের। হাকিপুরের আলীহাট ইউপির কাশিয়াডাঙ্গা স্থানে তুলশীগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য ছিল একটি নৌকা। পরে স্থানীয় যুবকরা তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থানীয়দের কষ্ট ও দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে নির্মাণ করেন একটি কাঠের সেতু। শুষ্ক  মৌসুমের চেয়ে বর্ষার মৌসুমে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষকে। তবে দিন দিন সেতুটি পুরনো হওয়ায় এর ওপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করতে পারে না। কাঠের সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করছে ভ্যান-রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। দুই একটি যানবাহন কিংবা লোকজন উঠলেই সেতুটি নড়েচড়ে উঠছে। চলার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে সবাই পারাপার হচ্ছেন এ সেতু দিয়ে। বর্তমানে নদীর এ স্থানে শুকনা হওয়ায় অনেকে নিচ দিয়েও যাতায়াত করছে। তবে আগামী বর্ষার সময় এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে আশংকা স্থানীয়দের। তাই এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণে আবারও দাবি জানায় স্থানীয়রা। স্থানীয় ছোট আলীহাট গ্রামের আমেনা বেগম জানান, নিজের অসুস্থতার জন্য জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেতুটির জন্য ভ্যান বা কোনো গাড়ি আসতে চায় না। একটি সেতু থাকলে এমনটি হতো না। কাঠের সেতুটি দিয়ে চলাফেরা করা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তাজ নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এই নদীর আশপাশে কোনো সেতু নেই। তাই বাধ্য হয়ে এ কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করি। গাড়ি সেতুতে উঠলে নড়ে উঠলে মনে হয় কখন যে ভেঙে পড়বে। তাই সরকার যদি এখানে একটা বেইলি  সেতু নির্মাণ করে দিত তাহলেও সবার অনেক উপকার হতো। ভ্যানচালক তাহের আলী বলেন, আলীহাটসহ কয়েকটি গ্রামের যাত্রী নিয়ে সারাদিন এই সেতু পার হয়ে ডুগডুগি বাজারে যাওয়া-আসা করি। কাঠের সেতুটি নড়ে এ জন্য যাত্রীদের নামিয়ে সেতু পার হই। আলীহাট ইউপি পরিষদের কয়েকজন জানায়, কাশিয়াডাঙ্গা নদীতে ব্রিজের জন্য টেন্ডার হয়েছে।

সর্বশেষ খবর