শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাতা কার্ডের জন্য আহাজারি নারী চাতাল শ্রমিকদের

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভাতা কার্ডের জন্য আহাজারি নারী চাতাল শ্রমিকদের

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর এলাকার হাবিবপুর চরপাড়ার চাতাল শ্রমিক মোমেনা। ১৫ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। সংসার চালাতে নিজেই ধান শুকানোর কাজ নেন একটি চাতালে। থাকার মতো নিজের কোনো ঘর না থাকায় চাতাল মালিকের দেওয়া ঝুপড়িঘরে বসবাস করছেন। চাতালে ধান শুকালে প্রতি বস্তায় তারা ১৫ টাকা করে পান। তাতে দিনে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। আর কাজ না থাকলে আয় নেই। দালালের টাকা দিতে না পারায় এবারও বিধবা ভাতার কার্ড হয়নি মোমেনার। একই এলাকার চাতাল শ্রমিক কোতরি বেগম। তিনি স্বামীহারা হয়েছেন ২০ বছর আগে। তারও একই অবস্থা। আরেক চাতাল শ্রমিক নুরজাহানের স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বিধবা ভাতার কার্ড পাননি তিনিও। এ এলাকার অধিকাংশ চাতাল শ্রমিকের একই অবস্থা। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার দাবি মাইকিং করা হয়েছিল। যারা অনলাইনে আবেদন করেছিল তাদের সবাই ভাতার কার্ড পেয়েছেন। চাতাল শ্রমিক মোমেনা বলেন, আমরা প্রতি বছর সমাজসেবা অফিসে গিয়ে আহাজারি করি। আমাদের কোনো গুরুত্বই দেয় না। যদি দালালের হাতে ধার্য টাকা দিতে পারতাম তাহলে আমাদের কার্ড হয়ে যেত। ১৫ বছর ধরে চাতালে কাজ করছি। চাতাল মালিকের দেওয়া ঝুপড়িঘরে থাকি। সরকার গরিবের জন্য এতকিছু দিলেও তা আমাদের ভাগ্যে জোটেনি।

সর্বশেষ খবর