রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলন

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলন

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে সরিষার আবাদে ছেঁয়ে গেছে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সরিষার ফুল ফুটে এখন হলদে রঙে রঞ্জিত হয়েছে পুরো খেত। চলতি রবি মৌসুমে জেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ ফুল। আর সরিষার এই হলুদ ফুল দেখে দর্শনার্থীরা যেমন মুগ্ধ তেমনি কৃষকের মুখেও ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। এসব কৃষক এবারের দুই দফা বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম সরিষা চাষ করেছেন। ফুলে ফুলে মাঠ ভরে ওঠায় এখন তাদের খুশির বার্তা। সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে পাবার প্রত্যাশা অনেক চাষির। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি বছরে জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জমিতে এবারের সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এখনো জমিতে কৃষকের শোভা পাচ্ছে এসব সরিষা। আরও এক থেকে দেড় মাস সময়ের ব্যবধানে এগুলো পরিপূর্ণ আকার ধারণ করবে বলে জানা যায়। জেলার সদর উপজেলা, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও ভূরুঙ্গামারীতে কৃষকরা সরিষা আবাদ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে জেলার রৌমারী উপজেলা ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে। বড় থেকে শুরু করে প্রান্তিক চাষিরাও এ চাষে ঝুঁকেছেন নিজেদের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা এ চাষে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ নিয়ে এবার সরিষা আবাদ করেছেন। সদর উপজেলার কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমি এবার প্রায় ৬০ শতক জমিতে বারি-১৬ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ফুলের সমারোহ বলে দেয় এবার খুব সুন্দর ফলন হবে। এ চাষ খরচ কম লাভ বেশি। অপরদিকে, রৌমারী উপজেলার বন্দবের চর এলাকার কৃষক মহির মিয়া জানান, প্রতি বছর চরে সরিষা লাগাই এবারেও লাগিয়েছি। মনে হয় ফলন ভালো হবে।

হাট-বাজারে ধান বা অন্য ফসলের চেয়ে সরিষার দাম বেশ ভালো। বন্যায় ধান তলিয়ে গেলে সরিষা আবাদ করি। আশা করি লাভবান হবো। এদিকে, কৃষকরা আশা করছেন এখন হলুদের সমারোহ দেখা গেলেও আর অল্প সময়েই পূর্ণ ফসল ঘরে উঠবে।

জেলা কৃষি ও সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এ বছর বন্যার কারনে কৃষকরা গত বছরের চেয়ে বেশি সরিষা চাষ করেছেন। বারি জাতের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এবং বিনা জাতের ৪ ও ১০ জাতের সরিষা জেলায় আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও যথাসময়ে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করায় ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি সরিষার এবার বাম্পার ফলন হবে এ জেলায়।

সর্বশেষ খবর