১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়েছিল দেশের বিভিন্ন এলাকা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো মুক্ত এলাকার তথ্য-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রণাঙ্গন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পাক হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের এ রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছিলেন শহীদ সিপাহি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।
দিনাজপুর : বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্ত হয়। যুদ্ধে ধনতলা গ্রামের আবুল বারেক ও এনামুল হক, কাকদুয়ার গ্রামে চিনিরাম দেব শর্ম্মা, বিহাগাঁও গ্রামের কাশেম আলী, রনগাঁও ইউনিয়নের ধনঞ্জয়পুরের গুলিয়া বাংরু, বনকোট চুনিয়াপাড়ার বের্যমোহন রায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৩ জন শহীদ হন।লালমনিরহাট : এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে লালমনিরহাট থেকে পালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
ফেনী : ১৯৭১ সালের এই দিন মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনী দিশাহারা হয়ে ফেনীর সবগুলো সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
মেহেরপুর : মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় দিগি¦দিক হারিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকাল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর রাজনৈতিক মর্যাদাপূর্ণ মেহেরপুর জেলা হানাদারমুক্ত হয়।
মৌলভীবাজার : ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, রাজনগর ও বড়লেখা উপজেলা।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : আজ শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস। একাত্তরের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে শহর ছেড়ে পালিয়েছিল পাক বাহিনী।