মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও কৃষিতে বিরূপ প্রভাব

অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচর উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একাধিক ইটভাটায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে, অন্যদিকে ভাটার কালো ধোঁয়ায় আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরেজমিন দেখা যায় সুবর্ণচর উপজেরার চর জুবলী ইউনিয়নে একটি ও চর আমানউল্ল্যাহ ইউনিয়নে দুটি ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে চর আমানউল্ল্যাহ ইউনিয়নের চর কাঁটাবুনিয়া গ্রামে গড়ে ওঠা দুটি ব্রিক ফিল্ড এবং চর জুবলীর একটি ব্রিক ফিল্ডসহ তিনটি ইটভাটায় প্রতিদিন কয়েক শ মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রাম চিমনি। এতে ভাটার আশপাশের এলাকা সব সময় বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ লোকালয়ে গড়ে ওঠা এসব ইট ভাটার ধোঁয়ায় আশপাশের বাড়িগুলোর অনেক গাছ মরে গেছে। নারিকেল, সুপারি গাছে ফুল থেকে ফল ধরার কয়েক দিন পর তা ঝরে পড়ছে। অন্যান্য ফল গাছেরও একই অবস্থা। এসব ইটভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেন না ভুক্তভোগীরা। ছাড়পত্র না নিয়ে ইটভাটা চালানো এবং ভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে মেসার্স আল্লাহর দান ব্রিকসের মালিক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছি। পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা কিছুদিন আগে ভাটা পরিদর্শন করে গেছেন। এখনো ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। এখন ভাটাগুলো চলছে কি না, তা জানা নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। অবৈধভাবে ইটভাটা চালানো এবং কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর