বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্কুলে মশার রাজ্য!

শেরপুর প্রতিনিধি

স্কুলে মশার রাজ্য!

নারী শিক্ষায় শেরপুরের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অংশ জুড়ে রয়েছে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা ও ১৯৮১ সালে জাতীয়করণ হয় এই প্রতিষ্ঠানটি। জেলার কিছু নাগরিক ও শিক্ষাবিদ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চল শেরপুরের মাধবপুর এলাকায় ২ একর ৯৬ শতক জমির মধ্যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর ধরে নারী শিক্ষা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি শেরপুরের  বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। হাজার হাজার নারী এই স্কুল থেকে শিক্ষা অর্জন করে স্ব স্ব কর্মস্থলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। নারী শিক্ষায় উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটি জেলায় সব সময় শীর্ষ স্থান ধরে রাখছে। কিন্ত প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি স্কুলটি নানা সংকটে ধুঁকছে। কোনো আমলেই এই প্রতিষ্ঠানের  উন্নয়নে কেউ নজর দেয়নি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের দাবি দেশের নারী নেতৃত্ব বিকাশ হলেও জেলায় নারীদের এই পাঠশালাটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। আধুনিকতা দূরের কথা সাধারণ সুবিধাও এখানে নেই। উপরন্তু চারদিকে ঝোপঝাড়, ভগ্নদশা ভবন, মজা পুকুরের দূষিত পানি, ময়লার ভাগাড় সব মিলিয়ে স্কুলটি এখন মশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। স্কুলের প্রাক্তন ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যুগযুগ ধরে তারা শুধু শুনেই আসছে স্কুলটিতে উন্নয়ন হবে। কিন্তু ৭২ বছরেও কিছুই হয়নি। এ যেন ‘সরকার কাল দড়িয়া মে ঢাল’। কয়েকটি পঞ্চাশোর্ধ বয়সের ভগ্নদশা আধাপাকা ভবন স্কুলের যেমন শ্রী যেমন নষ্ট করছে তেমনি শিক্ষার্থীদের মাথার উপর ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে বছরের পর বছর ধরে। বৃষ্টি হলে আধা পাকা বিল্ডিং এর টিন দিয়ে পানি পড়ে। বছর পনের আগে নামমাত্র একটি ভবন হয়েছে কিন্ত দরজা জানালা ঠিক নেই। বিল্ডিং এর এখানে-ওখানে ভেঙে আছে। নির্মাণকালীনই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কিছুই হয়নি। স্কুলের একটি বিশাল মজা পুকুর, চারদিকে ঝোপঝাড়, নোংরা পরিবেশ, ময়লার ভাগাড় যেন মশা-মাছি উৎপাদনের চারণ ক্ষেত্র। মশা মাছির অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ক্লাস রুম তো দূরের কথা মশার অত্যাচারে দিনের বেলায় স্কুল ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকারও উপায় নেই। আর বিকাল হলে স্কুলের ভিতর কোটি কোটি মশার গুণগুণ শব্দ আর কামড়ে এক অসহ্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্কুলটি যেন মশার দখলে। মাসে কয়েকশ কয়েল জ্বালিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর