শিরোনাম
শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুয়াকাটায় পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটায় পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গতকাল ভ্রমণপিপাসুদের ঢল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

হালকা মৃদু শীতল বাতাস। সাগরের ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। প্রকৃতির এ নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় বেড়েছে দর্শনার্থীর। নানা বয়সের পর্যটকদের গতকাল দিনভর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে থাকতে দেখা গেছে। কেউ সমুদ্রের নোনাজলে গোসল করছেন। কেউ তুলছেন ছবি। কেউ সৈকতের বালিয়ারীতে ছাতার নিচে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের ঢেউ। ঘোড়ার পিঠে চেপে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। তার ওপর পর্যটন মৌসুম- সব মিলিয়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। গঙ্গামতী, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ বেশির ভাগ পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণায় এখন মুখরিত। সরেজমিন দেখা যায়, পাখির কলতানে মুখরিত সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। তাদের অবাধ বিচরণে সৈকতে যেন ফুটে উঠেছে আল্পনা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি অনেকে সমুদ্রের জলে গা ভাসাচ্ছেন। মুলত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই এখানে পর্যটকের চাপ বাড়ে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরসহ টানা তিন দিনের ছুটি সামনে রেখে আরও বেশি পর্যটক কুয়াকাটায় আসবেন এমন প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটক রেশমি আক্তার বলেন, পরিবারের সঙ্গে কুয়াকাটা এলাম। এখানে অনেক দর্শনার্থী দেখে ভালো লাগছে। সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখলাম। অপর পর্যটক রাসেল কবির জানান, বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। একসঙ্গে সমুদ্রে গোসল করেছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। বেশ উপভোগ করছি। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা-টোয়াক-এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আগামী ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। এখন থেকেই তিন-চার মাস কুয়াকাটায় ভরপুর পর্যটক থাকবে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম নিয়োজিত রয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর