সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আটকে আছে মাদারীপুরের বধ্যভূমি উন্নয়ন কাজ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

আটকে আছে মাদারীপুরের বধ্যভূমি উন্নয়ন কাজ

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে মাদারীপুরের বধ্যভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কাজ। ২০১৩ সালে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজই শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে জেলার বিভিন্ন বধ্যভূমি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মাদারীপুরে ছোট-বড় ১৫টি বধ্যভূমি রয়েছে। এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। সূত্র জানায়, সরকারিভাবে ২০১৩ সালে মাদারীপুরের ১০টি বধ্যভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেলা গণপূর্ত বিভাগ সমীক্ষা শেষে ২০১৪ সালে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় ১০টির মধ্যে ৪টি বধ্যভূমির ওপর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের অনুমোদন দেয়। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতার কারণে গণপূর্ত বিভাগ সেগুলোর নির্মাণ কাজই শুরু করতে পারেনি। এ কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সদর উপজেলার ভদ্রখোলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান বেপারী বলেন, ‘মাদারীপুরে কমপক্ষে ১৫টি গণকবর রয়েছে। নতুন প্রজন্ম জানে না এই গণকবরের আসল ইতিহাস। কবরকে সবাই শ্রদ্ধা করে কিন্তু মাদারীপুরের অনেক গণকবরই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।’ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের বিষয়ে মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম খান বলেন, ‘২০১৪ সালে ১০টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়েছে চারটি। এই চারটির মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনোটারই কাজ শুরু করতে পারিনি। আশা করছি শিগগিরই দুটির কাজ শুরু করতে পারব। ডিসি অফিসে আমি জমি চেয়েছি। একটি কেন্দুয়ায় এবং একটি মিঠাপুরে।’ মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে সবগুলোর কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দুটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ খুব শিগগিরই শুরু করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলায় সাতটি এবং রাজৈরে আটটি গণকবর বা বধ্যভূমি রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর