শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার উদ্বোধন কাল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার উদ্বোধন কাল

আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে দেশের প্রথম কোনো স্কুলে একই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আত্মদানের বিজয় দিবসের স্মৃতিসৌধ ও মহান ভাষা আন্দোলনের প্রতীক ‘শহীদ মিনার’। আবার এর মধ্যে থাকছে বাংলাদেশের মানচিত্র। অনেকে দেখার জন্যে ওই স্কুলে পরিদর্শন করছেন। দিনাজপুর শহরের সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মাণ শেষ করেছে এই স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারের কাজ। দেশের কোনো স্কুলে এই প্রথম একই সঙ্গে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার নির্মিত হলো। এ দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায়ের। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই স্থাপনা নির্মাণ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্মৃতিসৌধটির প্রস্থ ১৫ফুট ও উচ্চতা ২২ ফুট। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরো স্বাধীনতার ইতিহাস ভেসে উঠনোর লক্ষ্যে এই প্রয়াস। আগামীকাল (১৯ ডিসেম্বর) এই স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার ও বাংলাদেশের মানচিত্র উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায়। ঐতিহ্যবাহী সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ইতিপূর্বেও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গড়া ২ টাকার ব্যাংক, হস্তশিল্প তৈরি এবং বিপণন, ল্যাবে বিজ্ঞান উপকরণ বক্স, বিজ্ঞান ক্লাব, লেখাপড়া, খেলাধুলায় প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কারসহ ভালো কাজের জন্য ব্যাপক পরিচিতি এবং পত্রিকায় পাতায় শিরোনাম হয়েছে। ক্যাম্পাসে আছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের নান্দনিক বাগান-শাপলা কর্নার। এসব সৃজনশীল কাজে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ কমিটির সুনাম অর্জন করেছে। সহকারী শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দেশে শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, মানচিত্র আছে। প্রত্যেকটি অর্জনের পেছনে রয়েছে আন্দোলন, সংগ্রাম ও রক্ত দেওয়ার ইতিহাস। বিষয়গুলোকে একসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সামনে নিয়ে আসার বিষয়টি তুলে ধরলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার ধারণাটি গ্রহণ করে এক সারিতে শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, মানচিত্র নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন দেয়। প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেনের ধারণা থেকেই একই সঙ্গে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার এবং মানচিত্রকে স্থান দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আত্মদানের চেতনাবোধকে অনুধাবন করবে এবং হৃদয়ে ধারণ করতে পারবে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা এই বেদির সামনে দাঁড়িয়ে পিটি প্যারেড করবে। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে। সালাম-অভিবাদন জানাবে। এতে শহীদদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সবার ভক্তি ও কৃতজ্ঞতাবোধ আরও বেড়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর