শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সৎমায়ের পরামর্শে বাবার কান্ড!

ফরিদপুর প্রতিনিধি

সৎমায়ের পরামর্শে পনের বছর বয়সী কিশোর আসিফকে তার বাবা হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নের গোপিনাথপুর প্রাইমারি স্কুলমাঠে ফেলে রেখে যান। গত বুধবার বিকালে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আসিফকে রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের সুমন মাতুব্বর দেখতে পান। পরে আসিফের মুখে সব কথা শুনে তিনি তাকে বাড়ি নিয়ে যান। বর্তমানে শিশু আসিফ সালথা থানার ওসি আসিকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানা পুলিশ শিশুটির বাবাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

কিশোর আসিফ জানায়, তার বাবার নাম রেজাউল ও মায়ের নাম আসমা বেগম। তারা ঢাকার মিরপুরের ১২ নম্বর বালুর মাঠের পাশে থাকত। তার নানার বাড়ি রংপুর জেলায়। তার মা ৬ মাস আগে                ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। নতুন মা তাকে বেশ মারধর করতেন। খাবার না দিয়ে নির্যাতন করতেন। বাবা বাইরে গেলে তার নতুন মা তাকে হাত-পা বেঁধে পেটাতেন। সে কান্না করলে তাকে গলা টিপে ধরতেন।

বাবা বাড়ি ফিরলে তাকে সবকিছু বললে তিনি নতুন মাকে কিছুই বলতেন না। আমাকে বকা দিতেন। নতুন মায়ের কথামতো আমাকে ঢাকা থেকে এখানে এনে হাত-পা চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়। কিশোরকে কুড়িয়ে পাওয়া সুমন মাতুব্বর জানান, গোপিনাথপুর স্কুলমাঠে শিশুটিকে দেখতে পাই। সে তখন কান্না করছিল। তার কাছে গিয়ে সবকিছু জানতে পারি। পরে তাকে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলি। কিশোরটিকে উদ্ধারের পর সালথা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এরপর থানার ওসির কাছে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আসিফকে হস্তান্তর করা হয়। সুমন মাতুব্বর জানান, সালথা থানার ওসি কিশোরের সব দায়িত্ব নিয়েছেন।  সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, সুমন মাতুব্বরের মাধ্যমে কিশোর আসিফকে থানায় আনা হয়। আসিফের মুখে সবকিছু শুনে আমি নিজেই তার দায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত সে আমার কাছেই আছে। আমি তার থাকা-খাওয়া সব ব্যবস্থা করেছি। কিশোর অভিভাবকের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর