রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সেতুর নির্মাণ কাজ স্থগিত ভোগান্তিতে মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সেতুর নির্মাণ কাজ স্থগিত ভোগান্তিতে মানুষ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের আদেশ স্থগিত। পাশাপাশি নির্মাণ কাজ চলমান রাখা নিয়ে উচ্চ আদালতের রুল জারির পরও কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার একটি সেতুর নির্মাণ কাজ স্থগিত রয়েছে। ধরলা সেতুর অ্যাপ্রোচ-যাত্রাপুর জিসি সড়কে এ সেতুর নির্মাণ কাজ স্থগিত থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডিকে দুষছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ভুক্তভোগী ঠিকাদারের অভিযোগ, দুই দফায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কপি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পরও নির্বাহী প্রকৌশলী চুক্তি বাতিলের কথা বলে তা সমাপ্ত করতে দিচ্ছেন না। এতে ওই সেতুর নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে জেলা সদরের সঙ্গে জনগণের চলাচলে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। গত ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে এক মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে কেন কাজ চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানাতে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো আদেশ পাননি বলে জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করা এবং বারবার চিঠি দিয়ে কাজ শুরুর তাগাদা দেওয়ার পরও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখায় ঠিকাদারের সঙ্গে আইনগত প্রক্রিয়ায় চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান। এদিকে ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও আইনি প্রক্রিয়ার বেড়াজালে পড়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এতে ওই সড়কে চলাচলকারী তিন ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন ধরলা সেতুর অ্যাপ্রোচ-যাত্রাপুর জিসি সড়কে ধরলা শাখা নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বসুন্ধরা অ্যান্ড আবু বকর (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ সেতু নির্মাণের কাজ পান। পরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে নির্মাণ কাজ শুরু করেন অথরাইজ ঠিকাদার মো. গোলাম রব্বানী। ভুক্তভোগী ঠিকাদারের অভিযোগ, ডিজাইন পরিবর্তন, ক্যালকুলেশনসহ বিভিন্ন কারণে এলজিইডি নির্মাণ কাজ স্থগিত করে। পরবর্তীতে টাইম এক্সটেনশন করে কাজ শুরু করা হয়। পরে প্রায় ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বিভিন্ন কারণে নির্মাণ কাজে ধীরগতি তৈরি হয়। এ ব্যাপারে এলজিইডি কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী কাজের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তার চুক্তি বাতিল করা হয়।

সর্বশেষ খবর