মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্ত্রী কারাগারে

কুমিল্লা প্রতিনিধি

এমরান হোসেন মুন্না নামে এক যুবলীগ নেতার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষা। বিচারক সোহেল রানা জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে            কারাগারে পাঠান। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঊষাকে গত রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২২ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যার আগে যুবলীগ নেতা মুন্না হোয়াটসঅ্যাপে তার স্ত্রীকে উদ্দেশ করে একটি মেসেজ লেখেন; যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মুন্না স্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘আর পাঁচটা মানুষের মতো আমার জীবন না, আমি আজ চলে যাইতেছি। মনে রাখিস তোর বেইমানি ও পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা করলাম আমি...।’ মুন্না কুমিল্লা মহানগরীর বারপাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে এবং মহানগরী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বারপাড়ার বাসায় আত্মহত্যা করেন। পরদিন রাতে মুন্নার স্ত্রী ঊষার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন মতিউর রহমান।

জানা গেছে, আট বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতে বিয়ে করেন মুন্না ও ঊষা। এক বছর পার না হতেই দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি। ঊষা ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সেখানে আরেকটি সম্পর্কে জড়ান। অভিমানে আত্মহত্যা করেন মুন্না। জানা যায়, লাকসাম উপজেলার রাজাপুরের খিলা বাজার গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ঊষা। একসময় কুমিল্লা কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটের (বর্তমানে সরকারি সিটি কলেজ) শিক্ষার্থী ছিলেন তারা। দুজন এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র। মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, ঊষা ঢাকায় সোহেল নামে এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারার অজুহাতে মরে যাওয়া কথা বলে কটাক্ষ করতেন মুন্নাকে। এতে মানসিকভাবে মুন্না ভেঙে পড়েন। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রীকে ছবি পাপ্রণ এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন।

সর্বশেষ খবর