বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল কাকিনা-রংপুর সড়ক ১০ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

বেহাল কাকিনা-রংপুর সড়ক ১০ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

তিস্তার প্রবল স্রোতে ভেঙে যাওয়া লালমিনরহাট-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। ভাঙাসড়ক দিয়ে গত তিন মাস ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ও রংপুরের প্রায় ১০ লাখ মানুষ। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর মিলনবাজার এলাকায় কাকিনা-রংপুর সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশের মেরামত কাজ এখনো শুরু হয়নি। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জানা যায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার ৪টি উপজেলাসহ চাকরিজীবী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষসহ রোগী প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ মানুষ কাকিনা-রংপুর সড়ক ব্যবহার করে। এ সড়কটি তিস্তার পানির তীব্র স্রোতে কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর মিলনবাজার এলাকায় গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে প্রায় ২০০ মিটার ভেঙে যায়। এতে তিন দিন ওই সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পন্ন বন্ধ থাকে। পরবর্তিতে সড়কটির পাশের কাঁচাঅংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা চালকদের। রাস্তাটির ভাঙা অংশের দুপাশে বড় মোড় থাকায় রাতের বেলা ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এছাড়া রাস্তাটির এক পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে অপর পাশের যানবাহনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। অফিসগামী ব্যক্তি-শিক্ষার্থীসহ বিভাগীয় নগরী রংপুরে জরুরি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স বিড়ম্বনায় পড়ছে। হাতীবান্ধা উপজেলায় হাসান মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, সড়কটি এমনিতেই ছোট। তার উপর যানবাহনের চাপ বেশি। আর ভাঙা অংশের জায়গায় বড় বাঁকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মেরামতে কেন বিলম্ব হচ্ছে জানি না। তবে দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। লালমনিরহাটের কাকিনা-মহিপুর-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ভাঙনের বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, এ সড়ক দিয়ে রংপুর-লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে। এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। সড়কের মেরামতের ডিজাইন পাশ হয়েছে। টেন্ডার আহ্বান শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর