রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

তরলবর্জ্যে বিষাক্ত পরিবেশ

আফজাল, টঙ্গী (গাজীপুর)

তরলবর্জ্যে বিষাক্ত পরিবেশ

টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অত্রযত্রভাবে গড়ে ওঠেছে ছোটবড় ওয়াশিং, ডাইং, ওষুধ ও ক্যামিকেল কারখানা। এসব শিল্প-কারখানার তরলবর্জ্য এবং ময়লা-আবর্জনায় দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্য কৃষি জমি, খাল ও নদে নির্গত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ এর মতে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কোনো এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। এছাড়া প্রতিটি কারখানায় তরলবর্জ্য শোধনাগারে (ইটিপি) থাকতে হবে। এর কোনটিই মানছেন না শিল্প মালিকরা। শুধু তাই নয়, যেসব কারাখানায় ইটিপি আছে তারা সেগুলোও রীতিমতো ব্যবহার করছেন না। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় শিল্প-কারখানার তরলবর্জ্য খাল-বিলে ও নদে নির্গত হওয়ায় নদী-নালা রয়েছে অস্তিস্ত¡ সংকটে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন দূষণের ভয়াবহতা বাড়ছে। টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে কিছু দিনের জন্য শুধু তুরাগ নদের দিকে তাকানো গেছে। বর্তমানে তুরাগ নদে যেমনি ময়লা আবর্জনা, তেমনি পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নদ পারাপারের সময় নাক চেপে বসে থাকতে হয়। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, অনেক ওয়াশিং ও ডাইং কারখানায় ইটিপি আছে কিন্তু মালিক চালান না। ইটিপিতো আমি পাহাড়া দিতে পারি না। সম্প্রতি টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় একটি কারখানার ইটিপি বন্ধ রাখায় প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর