রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন বছরেও হয়নি সেতু নির্মাণ ভোগান্তিতে দুই জেলার মানুষ

দুই দফতরের রশি টানাটানি

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

তিন বছরেও হয়নি সেতু নির্মাণ ভোগান্তিতে দুই জেলার মানুষ

সেতু ভেঙে যাওয়ার পর সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুই দফতরের রশি টানাটানিতে ভেঙে যাওয়ার তিন বছর পরও সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার কয়েক হাজার মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। শিবচর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘রাস্তাটি আমাদের হলেও সেতুটির জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন।’ শিবচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘ওই এলাকার রাস্তা এলজিইডি নির্মাণ করে তাই ওই ব্রিজটিও তাদেরই করার কথা। যদি এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ না করে তাহলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখবে।’ সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার গোবিন্দ মাদবরের কান্দি গ্রামে একটি কালভার্ট সেতু ছিল। ১৯৯৫ সালে এলজিইডির রাস্তা তৈরির সময় সেতুটি নির্মাণ হয়। এ কালভার্ট সেতুটি ব্যবহার করে সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়ন ও পাশের ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ও চরনাসিরপুর, সদরপুর এবং শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। ২০১৮ সালের বন্যায় রাস্তাটির কিছু অংশসহ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার হয়ে আসছেন। ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চরনাসিরপুর ইউনিয়ন থেকে আসা হালিম বলেন, ‘আমরা সদরপুরের মানুষ হলেও সহজে যাতায়াতের জন্য শিবচরের পাঁচ্চর হয়ে ঢাকা যাই। ঢাকা যেতে সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করি। তিন বছর ধরে গোবিন্দমাদবরের কান্দি গ্রামের সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় সরাসরি গাড়িতে চলাচল করতে পারি না। ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। এতে অনেক সমস্যায় পড়ি।’ সন্ন্যাসীর চর ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘আমার এলাকার এ সেতুটি নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিসে কয়েকবার গিয়েছি। আবার পিআইও অফিসেও খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সেতুটি দুই জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। আমি দাবি করছি দ্রুত সেতুটি যেন নির্মাণ করে দেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর