বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ভরসা বাঁশের সাঁকো

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

ভরসা বাঁশের সাঁকো

দীর্ঘদিন ধরে পারাপার নেই। বাঁশের সাঁকোই পারাপারে ভরসা নদীপাড়ের মানুষের। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় এ সাঁকোর ওপর দিয়ে এলাকাবাসীর। এটি ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর বসে আছে নড়েবড়ে এ সাঁকোটি। প্রতিদিন ছয়টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করেন এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা। দীর্ঘ দিনেও সেতু তৈরি না হওয়ায় কিংবা কোনো সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নির্বাচন শেষে কোনো খোঁজ রাখেননি। আর তাছাড়া প্রতিনিয়তই ঘটছে এ সাঁকোতে দুর্ঘটনাও। কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলের কৃষিপণ্য প্রচুর চাষ হলেও সেগুলো সময়মতো যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় পৌঁছানো যায় না। ফলে চাষিরা হচ্ছেন ক্ষতির সম্মুখীন ও হতাশ। সহজলভ্যভাবে তারা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এখানে প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন গ্রামের মানুষ। এ সাঁকো দিয়ে ছয়টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সাঁকোর পশ্চিম দিকে রয়েছে কান্তাপাড়া, ঝাউকুটি ও চর গোরুকমন্ডপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফয়জুল উলুম মাদরাসা এবং গোরুকমন্ডপ কমিউনিটি ক্লিনিক। পূর্বদিকে রয়েছে পশ্চিম ফুলমতি, বালাহাট ও নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পশ্চিম ফুলমতি উচ্চবিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক। দুই প্রান্তের গ্রামগুলোর যোগাযোগের সংযোগস্থল হওয়ায় এ সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে প্রাণহানির ঘটনা। এ ছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচলও হয় অনেক কষ্টের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর