সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ইরির ভরা মৌসুমে সার সংকট

শেরপুর প্রতিনিধি

ইরির ভরা মৌসুমে সার সংকট

কৃষিপ্রধান জেলা শেরপুর। জেলায় এখন চলছে ইরি আবাদের ভরা মৌসুম। এই সময়ে বাজারে কৃষকের অতিপ্রয়োজনীয় এমওপি (পটাশ) সার সংকট দেখা দিয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, বেশির ভাগ ডিলারের কাছে পটাশ সার নেই। অনেক জায়গা ঘুরেও এ সার পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে কিছু সার আছে সেখানেও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, এমওপি সার গাছের শিকড় পোক্ত ও বড় করে। ধানের চারা লাগানোর সময় একবার এবং শীষ বের হওয়ার আগে আরেকবার এ সার প্রয়োগ করা হয়। এমওপির সরকারি মূল্য প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা নির্ধারিত। সাত-আট দিন ধরে এ সারের সংকট চলছে।  বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। শহরের কয়েকজন সার ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের কাছে এমওপি নেই। আবার কয়েকটি দোকানে কিছু আছে যা সরকারি মূল্যের চেয়ে বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। ওই সার খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা বস্তা। শেরপুর শহরের সার ব্যবসায়ী গৌরব ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী প্রশান্ত সাহা বলেন, ‘সার বিএডিসি সরবরাহ করতে পারছে না বিধায় বাজারে সংকট রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে আমার কাছে ওই সার নেই। এ কারণে অন্য সার বিক্রিও কমে গেছে।’ জেলা সার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসি সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে এমওপির সংকট। তবে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়।’ বিএডিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যে পরিমাণ সার সরবরাহ করা হয়েছে তাতে সংকটের কথা নয়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে।’ শেরপুর বিএডিসি গুদামের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম বলেন, ‘১ জানুয়ারি ৭৩৬ টন এমওপি ডিলারদের সরবরাহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার শেরপুরের জন্য আরও এমওপি পাঠাতে চেয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় নেওয়া যায়নি। এখন জায়গা খালি হয়েছে। এমওপি আসা শুরু হয়েছে। ডিলারদের চাহিদামতো সরবরাহ করা হবে। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর