মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সংক্ষিপ্ত

টাঙ্গাইল-৭ উপনির্বাচনে তিন প্রার্থী জামানত হারালেন

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিনজনই তাদের জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৩ ভোট।  টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।  শতকরা ৩৬.৬৩ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২% এর কম পেলে তিনি জামানত হারান। সে হিসেবে তিনজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি কার), ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব)।

এদিকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও কারচুপির অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোট দেন। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল কাজ করে। খন্দকার নুরুন্নবী নামের এক ভোটার বলেন, আমি বানিয়ারা কেন্দ্রে সকালেই ভোট দিয়েছি। পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। উপনির্বাচনে বিজয়ী খান আহমেদ শুভ বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা, মির্জাপুরবাসী এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নের মির্জাপুর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ নভেম্বর এ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান। গত ৩০ নভেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত রবিবার প্রথমবারের মতো ভোট গ্রহণ হয়।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি


ইউপি নির্বাচনের মক ভোটিং ২৯ জানুয়ারি

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে আগামী ৩১ জানুয়ারি উপজেলার লামাকাজি ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। তার আগে ২৯ জানুয়ারি ওই দুই ইউনিয়নের ২৩টি কেন্দ্রে মক ভোটিংয়ের আয়োজন করেছে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন অফিস। সকাল ১০টা থেকে এই মক ভোটিং শুরু হবে। গতকাল দুপুরে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক মতবিনিময়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও নুসরাত জাহান। গোলাম সারওয়ার জানান, ‘লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৯ জানুয়ারি ওই দুই ইউনিয়নের সবকয়টি কেন্দ্রেই মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। যেকোনো সাধারণ ভোটার এসে ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয়, তা দেখতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন।     

এ আয়োজন মূলত ইভিএম সম্পর্কে সাধারণ ভোটারদের সচেতন করার জন্য। আগামী ৩১ জানুয়ারি লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে লামাকাজী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, সদস্য পদে ৫০ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন অংশগ্রহণ করছেন। খাজাঞ্চী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সদস্য পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন অংশগ্রহণ করছেন। লামাকাজী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ফয়সল আহমদ (নৌকা), সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া (চশমা), লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির গোলাম কিবরিয়া তালুকদার (আনারস), ইউনিয়ন বিএনপির আবেদুর রহমান আছকির (ঘোড়া) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত প্রার্থী আতাউর রহমান (হাতপাখা)। খাজাঞ্চী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আরশ আলী (নৌকা), সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন (আনারস), ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কয়েছ মিয়া (ঘোড়া) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল বাছিত (হাতপাখা)। লামাকাজী ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ৯০৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৫৫০ ও মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৩৫৫। খাজাঞ্চী ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২ হাজার ৫১৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৭০১ ও মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৮১৬।

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


হত্যা মামলায় মা ও তিন ছেলেসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কৃষক দুলাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মা ও তার তিন ছেলেসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন। কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাচ্চু মিয়া, তার ছোট ভাই ফেরদৌস মিয়া ও সাফেক মিয়া এবং তাদের মা মজবানু। এ ছাড়া একই এলাকার জোবায়ের ও ফারুক মিয়া। আসামিরা সবাই কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ভুনা গ্রামের বাসিন্দা।

রায় ঘোয়ণার সময় ছয়জনের মধ্যে পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি বাচ্চু মিয়া পলাতক ছিলেন। জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুন বিকালে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে কৃষক দুলাল মিয়াকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে আসামিরা। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বাজিতপুরের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার এক দিন পর নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে বাচ্চু মিয়াকে প্রধান আসামি করে মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক রায়ে তিনজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১০ আসামির মধ্যে একজনকে অব্যাহতি দিয়ে ৯ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর