নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোগাই নদীতে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে নাকুগাঁও সেতু। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে। দ্রুত সেতুর কাছ থেকে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, সড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা যাবে না। সরেজমিন দেখা যায়, নাকুগাঁও সেতুর ১০০-৪০০ মিটারের মধ্যে ৩০টির বেশি শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। সেতুর নিচের দুটি পিলারের কাছ থেকে ২ ফুট করে মাটি সরে গেছে। পাইপ দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ে। সেই বালু ট্রাকে তুলে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে। শতাধিক শ্রমিক এ কাজে ব্যস্ত। ভাঙন দেখা দিয়েছে ভোগাই নদীর তীরে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে নয়াবিলের সঙ্গে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মধ্যে যাতায়াত ও সীমান্ত সড়কের সংযোগ স্থাপনের জন্য ১৫০ মিটার দীর্ঘ নাকুগাঁও সেতু নির্মাণ করা হয়। গত বৈশাখ মাসে বালু তোলার জন্য ভোগাই নদীর চারটি মৌজা ৯০ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসন বালু তোলা মৌজার পরিধি বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে নাকুগাঁও সেতুর উজান ও ভাটির দেড় কিলোমিটার মধ্যে বালু তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ নয়াবিল ও রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ১৫-২০ জন বালু ব্যবসায়ী সেতুর ১০০-৪০০ মিটারে মধ্যে দিনরাত বালু তোলা হচ্ছে।

দিনরাত বালু তোলায় ভোগাই নদীর পাড় ও নাকুগাঁও সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, নাকুগাঁও সেতুর উজান ও ভাটির দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।