বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
বারির মাঠ দিবসের তথ্য

পিঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

গাজীপুর প্রতিনিধি

পিঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

পিঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়, যা আগে ছিল দশম। দেশে বছরে পিঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে গত বছর আমাদের পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। গত ১ বছরে আমাদের দেশে পিঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা মাঠে গ্রীষ্মকালীন বা সারা বছর চাষ উপযোগী বারি পিঁয়াজ-৫-এর উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানান। গতকাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। বারির আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে আরও বক্তব্য রাখেন বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিবেদিতা নাথ প্রমুখ। বিজ্ঞানীরা জানান, বারি পিঁয়াজ-৫ আগাম ও নাবি খরিপ মৌসুমে আবাদ উপযোগী স্বল্পমেয়াদি গ্রীষ্মকালীন তবে সারা বছর চাষের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত। প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৫০-৫৫ সেন্টিমিটার এবং প্রতিটি গাছে ১০-১২টি পাতা হয়। কন্দ গোলাকার এবং লালচে বর্ণের। প্রতিটি কন্দের গড় ওজন প্রায় ৯০-১০০ গ্রাম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পিঁয়াজের জাতীয় গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১০.৫৬ টন হলেও বারি পিঁয়াজ-৫ এর হেক্টর প্রতি ফলন ১৬-২২ টন। গ্রীষ্মকালীন বারি পিঁয়াজ-৫ আগাম চাষে মার্চ থেকে জুন এবং নাবি চাষে আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে চাষ করা যায়। বারির প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন জানান, বারির মসলা গবেষণা কেন্দ্র এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে পিঁয়াজের জাত ছয়টি।

 

সর্বশেষ খবর